মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা: খালাস পাওয়ার পর কর্নেল পুরোহিতের কর্মজীবনে ১৬ বছরের ডিভি ব্যান সরানোর সম্ভাবনা

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলা: খালাস পাওয়ার পর কর্নেল পুরোহিতের কর্মজীবনে ১৬ বছরের ডিভি ব্যান সরানোর সম্ভাবনা

মালেগাঁও ব্লাস্ট কেসে আদালত থেকে খালাস পাওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিতের কর্মজীবনের উপর ১৬ বছর ধরে থাকা ডিভি (DV) ব্যান সরানোর সম্ভাবনা বেড়েছে। ফাইলটি আর্মির কমান্ড চেন হয়ে দিল্লি হেডকোয়ার্টারে পৌঁছাচ্ছে, যার পরে তাঁর পদোন্নতি এবং সার্ভিস বেনিফিটগুলি পুনরুদ্ধার হতে পারে।

Malegaon Blast: মালেগাঁও ব্লাস্ট কেস রায়: আদালত থেকে খালাস পাওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিতের কর্মজীবনে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর উপর থাকা ডিসিপ্লিন অ্যান্ড ভিজিল্যান্স (DV) ব্যান তাঁর পদোন্নতি, পোস্টিং এবং কর্মজীবনের অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সূত্র অনুযায়ী, এই ফাইলটি এখন সাউদার্ন কমান্ড থেকে আর্মি হেডকোয়ার্টার, দিল্লিতে পৌঁছাচ্ছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তাঁর নাম কর্নেল র‍্যাঙ্কের পদোন্নতির জন্য খোলা হবে। আইনগতভাবে তিনি আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল বা হাইকোর্টের মাধ্যমে তাঁর সার্ভিস বেনিফিট এবং রেট্রোস্পেক্টিভ পদোন্নতির দাবিও করতে পারেন।

১৬ বছর পুরনো ডিভি ব্যান সরানোর প্রক্রিয়া শুরু

মালেগাঁও ব্লাস্ট কেসে আদালতের রায়ের পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিতের ক্যারিয়ার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এসেছে। ২০০৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর উপর যে ডিসিপ্লিন অ্যান্ড ভিজিল্যান্স (DV) ব্যান জারি করা হয়েছিল, তা সরানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করা হয়েছে। এই ব্যান তাঁর পদোন্নতি, পোস্টিং এবং কর্মজীবনের অগ্রগতি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন আদালত থেকে স্বস্তি পাওয়ার পর তাঁর ক্যারিয়ারে এই দীর্ঘ বিরতি শেষ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যান সরানোর ফাইলটি ইতিমধ্যেই সাউদার্ন কমান্ডে পাঠানো হয়েছে, যা এখন আর্মি হেডকোয়ার্টার, দিল্লিতে যাবে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর স্পেশাল বোর্ড তাঁর পুরনো পদোন্নতি অ্যাসেসমেন্ট রেজাল্ট খুলবে এবং কর্নেল পদে পদোন্নতির বিষয়ে বিবেচনা করবে।

পদোন্নতিতে ১৬ বছরের বাধা

ডিভি ব্যান জারি হওয়ার পর সেনাবাহিনীর কোনো অফিসারের পদোন্নতি, পোস্টিং এবং সম্মানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই কারণে পদোন্নতির জন্য যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও পুরোহিতের নাম ২০০৮ সাল থেকে সিলেকশন বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এখন আদালতের রায়ের পর এই ফাইল বিভিন্ন কমান্ড লেয়ার থেকে হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

যদিও তাঁর অবসরগ্রহণে আর মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময় বাকি আছে, তাই রেগুলার ফিল্ড বা স্টাফ পোস্টিং পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সেনা সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পরিস্থিতিতে তাঁর জন্য একটি বিশেষ পদ তৈরি করার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আইনি পদক্ষেপে মিলতে পারে সম্পূর্ণ ন্যায়

আইনগতভাবে, আদালত থেকে খালাস পাওয়ার পর পুরোহিত তাঁর ক্যারিয়ারের ক্ষতি, পদোন্নতি বন্ধ হওয়া এবং সার্ভিস বেনিফিট না পাওয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল (AFT) বা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন, যেখান থেকে রেট্রোস্পেক্টিভ পদোন্নতি, সিনিয়ররিটি পুনরুদ্ধার এবং সমস্ত বকেয়া বেনিফিট দেওয়ার আদেশ পাওয়া যেতে পারে।

এরকম ক্ষেত্রে আগেও আদালত খালাস হওয়া অফিসারদের স্বস্তি দিয়েছে। Lt Col R.K. শর্মা বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এবং Col অজয় শর্মা বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া-র মতো মামলায় আদালত পদোন্নতি এবং সার্ভিস বেনিফিট পুনরুদ্ধারের আদেশ দিয়েছিল। এমতাবস্থায় পুরোহিতের মামলা আইনগতভাবে শক্তিশালী এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচারাধীন বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a comment