সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া উস্কানিমূলক কন্টেন্ট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই ধরনের কনটেন্টে সমাজের শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে, বাড়ছে অপরাধের প্রবণতা। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কড়া পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন তিনি।
নবান্ন থেকে দিল্লি— আইন তৈরির দাবিতে চিঠি মমতার
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে একটি বিস্তারিত চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, শুধুমাত্র উদ্বেগ প্রকাশ করলেই চলবে না, জাল কনটেন্ট, ভুয়ো ভিডিও ও উস্কানিমূলক বার্তার বিরুদ্ধে ‘কঠোর আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সাম্প্রদায়িক বিভাজনের আশঙ্কা! ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতার মতে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এমন সব ভিডিও ও পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে যা সরাসরি ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। সমাজের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই ধরণের ‘সাজানো’ কনটেন্ট বন্ধ করতে সরকারকে আইনত কঠোর হতে হবে।
আর্থিক প্রতারণা বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সরব মুখ্যমন্ত্রী
চিঠিতে তিনি জানান, জালিয়াতির নতুন পথ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভুয়ো লিঙ্ক, স্ক্যাম ভিডিও কিংবা ফেক অফার দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। এই বিপজ্জনক প্রবণতাও রুখতে কেন্দ্রের উচিত তৎপর হওয়া।
সচেতনতা জরুরি! প্রচার অভিযানের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা মনে করছেন, শুধু আইন করলেই চলবে না—সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি। তাই তিনি চিঠিতে প্রস্তাব দিয়েছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে এমন একটি সচেতনতা মূলক প্রচার শুরু করুক যাতে মানুষ বিভ্রান্ত না হন, ভুল তথ্যের শিকার না হন।
মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে’— সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
মমতার শেষবার্তা চিঠিতে ছিল স্পষ্ট—এই বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে তার বড় মাশুল দিতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকে। সমাজের স্থিতাবস্থা বিপন্ন হবে। এমনকী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এই অবাধ অনিয়ন্ত্রিত সোশ্যাল মিডিয়া।