হিমাচলে ভূমিধসে বিপর্যস্ত মণিমহেশ যাত্রা, মৃত ৩

হিমাচলে ভূমিধসে বিপর্যস্ত মণিমহেশ যাত্রা, মৃত ৩

হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে মণিমহেশ যাত্রা সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তিন জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচ জন আহতকে আকাশপথে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Manimahesh Yatra Cancelled: হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে প্রশাসন মণিমহেশ যাত্রা সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তীর্থযাত্রী এবং যাত্রায় নিযুক্ত কর্মীদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আকাশপথে উদ্ধার এবং পায়ে হাঁটা পথের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়ার অবনতি এবং সড়ক পথের ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থার কারণে যাত্রা পথের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

তিন জন তীর্থযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু

সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিন জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জন কুগ্‌তি মার্গে এবং একজন হড়সরের পায়ে হাঁটা পথে আটকে ছিলেন। মৃতদেহগুলোর পরিচয় হড়সরে পৌঁছানোর পরেই সম্ভব হবে, কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকার কারণে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

সৌভাগ্যবশত সুন্দরাসিতে ভূমিধসের সময় আহত পাঁচ জন তীর্থযাত্রীকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশপথে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভরমোরের সিভিল হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

প্রশাসনের দ্রুত উদ্ধারকার্য

ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে যাত্রা পথে এবং মণিমহেশ ডাল হ্রদে মোতায়েন আধিকারিক ও কর্মচারীদেরও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অনেক স্থানে সেতু ভেঙে যাওয়া এবং রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কর্মীদের আকাশপথে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। উপায়ুক্ত চাম্বা মুকেশ রেপ্সওয়াল জানিয়েছেন যে যাত্রা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কর্মী ও তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা প্রধান অগ্রাধিকার।

হেলিকপ্টার থেকে ত্রাণকার্য জারি

আজ সকালে আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার পরে প্রশাসন হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণকার্য শুরু করেছে। প্রথমে আহত পাঁচ জনকে আকাশপথে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখন অন্যান্য তীর্থযাত্রী ও কর্মীদেরও ভরমোরে আনা হচ্ছে। প্রশাসন ক্রমাগত আবহাওয়া ও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

রাস্তা বন্ধ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক স্তব্ধ

চাম্বা এবং ভরমোর অঞ্চলে लगातार তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টি চলছে। এই কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে এবং অধিকাংশ পথ বন্ধ। একই সাথে মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবারগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক बहाल করার চেষ্টা চলছে। टीम চুয়াড়ি পর্যন্ত পৌঁছেছে কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে চাম্বা পর্যন্ত যেতে পারছে না। এতে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যেও বাধা আসছে।

পাঠানকোট-চাম্বা জাতীয় সড়ক बहाल হওয়ার সম্ভাবনা

প্রশাসনের অনুমান পাঠানকোট-চাম্বা জাতীয় সড়ক সন্ধ্যা तक बहाल হতে পারে। রাস্তা बहाल হওয়ার পরে জরুরি যানবাহনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং তীর্থযাত্রীদের যানবাহনগুলোকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হবে।

তীর্থযাত্রীদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা

চাম্বাতে আটকে পড়া তীর্থযাত্রীদের জন্য প্রশাসন খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছে। তবে জলের সরবরাহ না থাকার কারণে লোকেদের বোতলবন্দী জলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। तीन দিন ধরে পানীয় জলের সংকট তৈরি হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় আধিকারিকরা এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছেন।

প্রশাসনের বার্তা

উপায়ুক্ত চাম্বা মুকেশ রেপ্সওয়াল জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে প্রধান অগ্রাধিকার সুরক্ষা ও ত্রাণকার্য। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে রাস্তাঘাট ও যাত্রা পথ বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে। তাই মণিমহেশ যাত্রা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি लोगों से आग्रह किया है कि वे प्रशासन के निर्देशों का पालन करें और सुरक्षित स्थानों पर ही रहें।

Leave a comment