মারুতি সুজুকি তাদের ই-ভিটারা (e-Vitara) রপ্তানি শুরু করেছে। আগস্ট মাসে ২,৯০০ ইউনিট ১২টি ইউরোপীয় দেশে পাঠানো হয়েছে। কোম্পানি এই মডেলটি ১০০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করার এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। ভারতে এর প্রতিযোগিতা হবে হুন্ডাই ক্রেটা ইলেকট্রিক, এমজি জেডএস ইভি, টাটা কার্ভ ইভি এবং মাহিন্দ্রা বিই ৬-এর সাথে।
ই-ভিটারা রপ্তানি: মারুতি সুজুকি তাদের ই-ভিটারা-র প্রথম রপ্তানি গুজরাটের কারখানা থেকে শুরু করেছে। আগস্ট মাসে ২,৯০০-এর বেশি ইউনিট যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নরওয়ে, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং বেলজিয়ামে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই গাড়ির সবুজ সংকেত দিয়ে যাত্রা শুরু করিয়েছেন। কোম্পানি এটিকে ১০০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করবে এবং ভারতেও বিক্রি করবে। আগস্টে মারুতির মোট রপ্তানি ছিল ৩৬,৫৩৮ ইউনিট। অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগীদের মধ্যে ই-ভিটারা-র প্রতিদ্বন্দ্বী হবে হুন্ডাই ক্রেটা ইলেকট্রিক, এমজি জেডএস ইভি, টাটা কার্ভ ইভি এবং মাহিন্দ্রা বিই ৬।
প্রথম চালান এবং প্রধান দেশগুলিতে বিতরণ
মারুতি ই-ভিটারা-র প্রথম চালানে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নরওয়ে, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং বেলজিয়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২৬শে আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মারুতি কারখানায় এই গাড়ির যাত্রা শুরু করিয়েছেন। এটি প্রথমবার যখন কোনও ভারতীয় অটোমোবাইল কোম্পানি ইউরোপের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে এত বড় সংখ্যক গাড়ি পাঠিয়েছে।
ইউরোপ রপ্তানির গুরুত্ব
মারুতি ই-ভিটারা-র জন্য ইউরোপকে প্রথম গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়া একটি কৌশলগত তাৎপর্য বহন করে। এই বাজারটি বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক এবং কঠোর নিয়মযুক্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে গ্রাহকদের কাছে প্রচুর বিকল্প রয়েছে। ভারত থেকে ২,৯০০টি গাড়ির চালান কেবল একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি ইঙ্গিত দেয় যে দেশ কেবল একটি কম খরচের উৎপাদন কেন্দ্রই নয়, বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক একটি উৎপাদকও হয়ে উঠেছে।
মারুতির রপ্তানি রেকর্ড বৃদ্ধি
ই-ভিটারা বিশেষভাবে মারুতি সুজুকির হংসলপুর (Hansalpur) কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে। কোম্পানি এটি ১০০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হিশাশি তাকেউচি (Hisashi Takeuchi) বলেছেন যে ইউরোপকে রপ্তানির প্রথম গন্তব্য করতে পেরে তাঁরা গর্বিত।
আগস্ট মাসে, মারুতি সুজুকির মোট রপ্তানি ৪০ শতাংশ বেড়ে ৩৬,৫৩৮ ইউনিট হয়েছে, যেখানে গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ২৬,০০৩ ইউনিট। এই বৃদ্ধি মারুতির উৎপাদন ক্ষমতা এবং বিশ্বব্যাপী চাহিদা বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটায়।
ভারতে ই-ভিটারা-র প্রতিযোগিতা হবে হুন্ডাই ক্রেটা ইলেকট্রিক, এমজি জেডএস ইভি, টাটা কার্ভ ইভি এবং মাহিন্দ্রা বিই ৬-এর মতো বৈদ্যুতিক এসইউভিগুলির সাথে। এর আনুষ্ঠানিক মূল্য আগামী মাসগুলিতে ঘোষণা করা হবে, তবে মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী এর প্রাথমিক মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হতে পারে।
ভারতের বৈশ্বিক পরিচিতি
মারুতি ই-ভিটারা-র রপ্তানি থেকে এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ভারত এখন কেবল একটি অটোমোটিভ উৎপাদন কেন্দ্রই নয়। ভারতীয় সংস্থাগুলি এখন উচ্চ-প্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারেও নিজেদের পরিচিতি তৈরি করছে। ইউরোপের মতো কঠোর নিয়মযুক্ত বাজারে প্রবেশ ভারতের অটো শিল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।