মেরঠের সৌরভ হত্যা: অভিযুক্ত মুসকানের গর্ভাবস্থা ও মামলার নতুন মোড়

মেরঠের সৌরভ হত্যা: অভিযুক্ত মুসকানের গর্ভাবস্থা ও মামলার নতুন মোড়

मेरठের বিতর্কিত সৌরভ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মুসকানের মেডিকেল পরীক্ষায় শিশু সুস্থ পাওয়া গেছে। হাইকোর্ট থেকে জামিনের চেষ্টা চলছে। ১৯শে সেপ্টেম্বর ড্রাম কাটার কারিগরের সাক্ষ্য থেকে মামলার নতুন মোড় নেবে।

Meerut Murder Case: মেরঠের আলোচিত সৌরভ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত মুসকানের গর্ভাবস্থার জন্য মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে মুসকান ছয় মাসের গর্ভবতী এবং তার গর্ভে থাকা শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ। জানা গেছে যে মুসকান এই ভিত্তিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছে।

১৯শে সেপ্টেম্বর গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী

এই মামলায় এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য হতে চলেছে। ১৯শে সেপ্টেম্বর সেই কারিগর আদালতে बयान দেবেন যিনি নীল ড্রাম কেটে সৌরভের মৃতদেহ বের করেছিলেন। এর আগে মামলার সাথে জড়িত দোকানদারদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ছুরি, ড্রাম এবং সিমেন্ট বিক্রেতারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এই সাক্ষ্য মামলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

মুসকান ও সৌরভের সম্পর্ক

মুসকান রাস্তোগি ওরফে সোভি-এর সঙ্গে সৌরভের ২০১৬ সালে প্রেমের বিয়ে হয়েছিল। সৌরভ ইন্দ্রানগরের বাসিন্দা ছিলেন, যেখানে মুসকান ব্রহ্মপুরীর বাসিন্দা। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই চলছিল, কিন্তু এরই মধ্যে মুসকানের জীবনে সাহিল শুক্লার প্রবেশ ঘটে। সাহিল তার পুরানো সহপাঠী ছিল এবং ধীরে ধীরে তারা একে অপরের কাছাকাছি চলে আসে।

সম্পর্কে ফাটল এবং ষড়যন্ত্রের সূচনা

সাহিলের প্রবেশের পর মুসকান ও সৌরভের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে। সৌরভ এই সময়ে কিছু সময়ের জন্য লন্ডনে চলে গিয়েছিল। সেখানে সাহিল ও মুসকানের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। অভিযোগ, এই বছরের মার্চ মাসে যখন সৌরভ ভারতে ফিরে আসে, তখন দুজনে মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।

হত্যার রাতে কি হয়েছিল

পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, ৩রা মার্চ রাতে মুসকান সৌরভকে খাবারে কোফতা সবজি দিয়েছিল। এতে নেশার ওষুধ মেশানো হয়েছিল। যখন সৌরভ অচেতন হয়ে পড়ে, তখন সাহিল ও মুসকান মিলে তাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে।

মৃতদেহ নীল ড্রামে লুকানো

হত্যার পর অপরাধীরা মৃতদেহ লুকানোর জন্য নীল ড্রামের সাহায্য নেয়। তারা মৃতদেহটি ড্রামে সিমেন্ট ভরে সিল করে দেয় যাতে কারো সন্দেহ না হয়। এরপর দুজনে শিমলা, মানালি এবং কাসোল ঘুরতে চলে যায়। যখন তারা ফিরে আসে, তখন ১৮ই মার্চ পুলিশ এই পুরো ঘটনার পর্দা ফাঁস করে।

হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে মুসকান এবং সাহিল উভয়ই জেলে বন্দি। জেল সুপার বীরেশ রাজ শর্মা অনুসারে, মুসকানের সাথে তার পরিবার এখনও পর্যন্ত দেখা করতে আসেনি। অন্যদিকে, সাহিল শুক্লার সাথে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে আসেন। মুসকান বর্তমানে সরকারি আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা লড়ছেন।

Leave a comment