সরকার জন औषधि কেন্দ্র খোলার ন্যূনতম দূরত্বের শর্ত বাতিল করেছে। এখন ২০২৭ সালের মধ্যে দেশজুড়ে ২৫,০০০ কেন্দ্র খোলা হবে, যার ফলে সুলভ জেনেরিক ওষুধ মানুষ সহজে পাবে। বর্তমানে ১৭,০০০ কেন্দ্র চালু রয়েছে, যেখানে ৯০% পর্যন্ত সুলভ ওষুধ পাওয়া যায়।
নতুন দিল্লি: ১০ সেপ্টেম্বর থেকে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র সরকার জন औषधि কেন্দ্র খোলার জন্য ন্যূনতম দূরত্বের নিয়ম তুলে নিয়েছে। এর ফলে দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং অন্যান্য ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে কাছাকাছি নতুন কেন্দ্র খোলা যাবে। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জন औषधि প্রকল্পের (PMBJP) আওতায় সরকারের লক্ষ্য ৩১ মার্চ ২০২৭ সালের মধ্যে দেশজুড়ে ২৫,০০০ স্টোর খোলা। বর্তমানে ১৭,০০০ কেন্দ্র চলছে, যেখানে ২,০৪৭টি জেনেরিক ওষুধ এবং ৩০০টি সার্জিক্যাল সামগ্রী ৫০-৯০% পর্যন্ত সস্তা দামে উপলব্ধ করানো হচ্ছে।
১৭ হাজারেরও বেশি কেন্দ্র আগে থেকেই চালু
বর্তমানে দেশজুড়ে ১৭,০০০ জন औषधि কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলিতে ২,০৪৭ ধরনের ওষুধ এবং প্রায় ৩০০ ধরনের সার্জিক্যাল সামগ্রী উপলব্ধ রয়েছে। এই ওষুধগুলির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলি ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সস্তা হয়। অর্থাৎ রোগী এবং তাদের পরিবারদের চিকিৎসার জন্য যে খরচ হয়, তা অনেকটাই কমে যায়।
জনবহুল শহরগুলিতে শীঘ্রই নতুন স্টোর খোলা হবে
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দূরত্বের নিয়ম বাতিল হওয়ার ফলে এখন দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ এবং আহমেদাবাদের মতো বড় শহরগুলিতে অধিক সংখ্যায় জন औषधि কেন্দ্র খোলা সম্ভব হবে। এর ফলে মানুষজন তাদের বাড়ির কাছাকাছি সুলভ ওষুধ পেয়ে যাবেন। আধিকারিকরা বলছেন, অনেকেই তাদের শহরে কেন্দ্র খুলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দূরত্বের নিয়মের কারণে তারা অনুমতি পাচ্ছিলেন না। এখন এই সমস্যা দূর হয়েছে।
১০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট ৪৬টি শহরেও এক কিলোমিটারের শর্ত বাতিল করা হয়েছে। তবে এতে একটি শর্ত রাখা হয়েছে যে, যদি কোনো এলাকায় বিগত দুই বছরের মধ্যে জন औषधि কেন্দ্র খোলা হয়ে থাকে, তবে সেই একই জায়গায় পুনরায় কেন্দ্র খোলার অনুমতি দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পরেই পাওয়া যাবে। বাকি সমস্ত ছোট শহর এবং মফঃস্বল এলাকায় এখনও এক কিলোমিটারের নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে।
জেনেরিক ওষুধে হবে সরাসরি সাশ্রয়
জন औषधि কেন্দ্রগুলিতে পাওয়া জেনেরিক ওষুধ ব্র্যান্ডেড ওষুধের চেয়ে অনেক সস্তা হয়। অনেক সময় রোগীরা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ব্র্যান্ডেড ওষুধের দাম ১০০ টাকা হয়, তবে সেই একই জেনেরিক ওষুধ জন औषधि কেন্দ্রে ১০ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যায়। সরকারের মতে, নতুন কেন্দ্র খোলার ফলে ওষুধের সহজলভ্যতা আরও বাড়বে এবং সাধারণ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবেন।
কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগও তৈরি হবে
নিয়ম পরিবর্তন শুধুমাত্র মানুষকে সুলভ ওষুধই দেবে না, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্যও পথ খুলে দেবে। কেন্দ্র খোলার জন্য সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত উৎসাহ ভাতা এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়। এর ফলে যুবক এবং ছোট উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
সরকার এও নিশ্চিত করেছে যে, জন औषधि কেন্দ্রগুলিতে প্রাপ্ত ওষুধের গুণমান নিয়ে কোনো আপস করা হবে না। সমস্ত ওষুধ সেই সকল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি থেকে কেনা হয়, যারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি মান অনুসরণ করে। অর্থাৎ রোগীরা শুধু সস্তা নয়, নিরাপদ এবং কার্যকর ওষুধও পাবেন।