দীর্ঘ সাত বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীনে পা রাখলেন। এই সফরটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর এটি মোদীর প্রথম চীন সফর। তিনি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবেন। কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির দিক নির্দেশ করতে পারে এবং সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠক ও কূটনৈতিক গুরুত্ব
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) বৈঠক আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য বড় একটি মঞ্চ। মোদীর এই সফরে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং মাল্টিল্যাটারাল আলোচনায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষত আমেরিকার নতুন শুল্ক নীতির পর, ভারত-চিন সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষায় মোদীর পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। এই সফর কেবল রাজনৈতিক নয়, ব্যবসায়িক ও কৌশলগত সম্পর্কও শক্তিশালী করতে সহায়ক হতে পারে।
সীমান্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট
লাদাখ সীমান্তে ২০২০ সালে সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ কষ্টদায়ক ছিল। সেসময় থেকে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি রক্ষা এবং কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা আনাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। মোদীর এই সফর সেই প্রেক্ষাপটে আশা জাগাচ্ছে যে, সীমান্ত সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সমস্যাগুলির সমাধানে নতুন আলোচনা শুরু হতে পারে।
অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক
চীন সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বাণিজ্য ও অর্থনীতি। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাণিজ্যিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদীর সফর চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে নতুন দিশা দেখাতে পারে। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, প্রযুক্তি, এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
হাওড়ার ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে কর্মবিরতি
একই দিনে হাওড়ার মৌরিগ্রাম ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে ট্যাঙ্কারের চালক ও খালাসীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ফলে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, নদিয়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় তেল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই অবস্থা দীর্ঘ হলে পেট্রল পাম্পগুলো শীঘ্রই খালি হয়ে যেতে পারে।
কর্মবিরতির প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া
ডিপোর কর্মবিরতি সরাসরি শহরের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করছে। সাধারণ মানুষ পেট্রোল পাম্পে জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং সংস্থাগুলি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখনও কোন চূড়ান্ত সমাধান সামনে আসেনি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি ব্যবসায় ও পরিবহণ ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা তৈরি করতে পারে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
মৌরিগ্রাম ডিপোর কর্মবিরতি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জনগণের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত, পরিবহণ, ব্যবসা ও দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হবে। স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমাধান করতে চাইছেন। অন্যদিকে, মোদীর চীন সফর কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক নির্দেশ করতে পারে।