মোরাদাবাদের বিজনা গ্রামে গবাদি পশুর মাংস পাচার করার সময় দুই যুবককে ধরা হয়েছে। একজন পালিয়ে গেছে এবং একজন গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ মাংস ও অবশেষের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে, যখন অভিযুক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।
মোরাদাবাদ: উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার ভোজপুর থানা এলাকার বিজনা গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে গবাদি পশুর মাংস পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। রাষ্ট্রীয় বজরং দলের কর্মীরা শচীন ও ভিকি নামের দুই যুবককে মাংস নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুজনেই বাইক ও বস্তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু কর্মীরা শচীনকে ধরে পুলিশকে খবর দেয়।
ভিকি অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ শচীনকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে শচীনকে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে।
গবাদি পশুর মাংস পাচারের ঘটনা
তথ্য অনুযায়ী, বিজনা গ্রামের বাসিন্দা কৃষক অঙ্কিত শর্মা তার সঙ্গী অনুজ ঠাকুর এবং অন্যান্য যুবকদের সাথে রাতে বিজনা ও খানপুর যাওয়ার পথে হাঁটছিলেন। এই সময় তারা একটি বাইক থামান, যেটিতে ভিকি চালাচ্ছিল এবং শচীন পেছনে দুটি বড় বস্তা নিয়ে বসেছিল।
বস্তা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে একটি বস্তায় গবাদি পশুর মাংস এবং অন্যটিতে পশুর অবশেষ রাখা ছিল। উভয় অভিযুক্তই বাইক ও বস্তা ফেলে পালানোর চেষ্টা করতে শুরু করে, কিন্তু কর্মীরা তাদের ধরে ফেলে এবং তাদের প্রচণ্ড মারধর করে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশের পদক্ষেপ ও তদন্ত
পুলিশ ঘটনাস্থলে পশু চিকিৎসকদের একটি দল ডেকে মাংস ও অবশেষের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে। এরপর মাংস ও অবশেষ একটি গর্তে পুঁতে ফেলা হয়। পুলিশ শচীনের বিরুদ্ধে গো-হত্যা ও মাংস পাচারের মামলা দায়ের করেছে।
ডিএসপি এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত ভিকি এবং তার অন্যান্য সহযোগীদের সন্ধান চলছে। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তদন্ত চলছে এবং পুলিশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
রাতে ধরা পড়া দুই যুবকের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দুই অভিযুক্তকে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা স্থানীয় হিন্দু সংগঠনগুলির মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনেক সংগঠন পুলিশের কাছে কঠোর ব্যবস্থা এবং পাচার বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য যে গবাদি পশুর পাচার বন্ধ করতে জনগণ ও পুলিশের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও থেকে এটিও স্পষ্ট হয়েছে যে স্থানীয় সক্রিয়তা এবং সচেতনতা অপরাধীদের ধরতে সাহায্য করতে পারে।