ভোরের জগিং বা সান্ধ্যকালীন ব্যায়াম: সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের দিকে ব্যায়াম করেন, তাঁদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত সমীক্ষায় প্রায় ৮৬ হাজার মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে সকালের ব্যায়ামের সুবিধা বেশি। তবে গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, দিনের যে কোনও সময় নিয়মিত শরীরচর্চা করাটাই মূল বিষয়। মানসিক প্রস্তুতি এবং সুবিধা অনুযায়ী সময় বেছে নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সকালের ব্যায়ামের সম্ভাব্য সুবিধা
ভোরের জগিং বা সান্ধ্যকালীন ব্যায়াম: গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে ব্যায়াম করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে সকালের ব্যায়ামের প্রভাব বেশি।সকালের সময় শরীরের জৈবিক ঘড়ি বা সার্কাডিয়ান রিদম অনুযায়ী রক্তচাপ এবং কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি দীর্ঘমেয়াদে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সহায়ক।
সন্ধ্যায় বা বিকেলে ব্যায়ামের সুবিধা
সান্ধ্যকালীন ব্যায়াম করলে পেশি ইতিমধ্যে উষ্ণ থাকে, তাই আঘাতের ঝুঁকি কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও সারাদিনের মানসিক চাপ কমাতে সন্ধ্যার ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার।গবেষকরা উল্লেখ করেন, যারা সকালে ব্যায়াম করতে পারেন না, তাদের জন্য বিকেল বা সন্ধ্যার ব্যায়াম করাই যথেষ্ট উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম না করার চেয়ে এই সময়ে করা অনেক বেশি ফলপ্রসূ।
ধারাবাহিকতা ও সুবিধা অনুযায়ী সময় নির্বাচন
গবেষণার মূল বার্তা হচ্ছে, ব্যায়ামের সময় গুরুত্বপূর্ণ হলেও নিয়মিততা আরও বড় বিষয়। ভোরের ব্যায়ামের সম্ভাব্য সুবিধা থাকলেও নিজের জীবনযাত্রা ও সুবিধা অনুযায়ী সময় বেছে নিন।হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অলসতা এড়িয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করা। এটি ভোরের আলোতে হোক বা সন্ধ্যার নিয়ন আলোয়, ধারাবাহিক অভ্যাসই সুস্থতার মূল।
নতুন গবেষণায় জানা গেছে, ভোরের দিকে শরীরচর্চা করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের যে কোনও সময় নিয়মিত ব্যায়াম করা হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে উপকারী। মূল বিষয় হল ধারাবাহিকতা এবং নিজের সুবিধা অনুযায়ী ব্যায়ামের সময় বেছে নেওয়া।