নাগপুরের রুশ সিন্ধু মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ এর মুকুট জয়ী, জাপানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন

নাগপুরের রুশ সিন্ধু মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ এর মুকুট জয়ী, জাপানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন

নাগপুরের রুশ সিন্ধু মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ২০২২-এর খেতাব জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। দেশে ফেরার পর ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ঐতিহ্যবাহী ঢোল-নগড়া এবং ফুল দিয়ে भव्य সংবর্ধনা জানানো হয়। আগামী নভেম্বর মাসে তিনি জাপানে অনুষ্ঠিত মিস ইন্টারন্যাশনাল ২০২২ প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

বিনোদন: নাগপুরের কন্যা রুশ সিন্ধু মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ২০২২-এর মুকুট নিজের নামে করেছেন। খেতাব জেতার পর যখন তিনি নিজের শহরে ফিরে আসেন, তখন বিমানবন্দরে ঢোল-নগড়া, পুষ্পবৃষ্টি এবং জয়ধ্বনির মধ্যে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। নাগপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রুশ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং আবেগপ্রবণ হয়ে এটিকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত বলে অভিহিত করেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তিনি জাপানে অনুষ্ঠিত মিস ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

বিমানবন্দরে উদযাপনের আমেজ

ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুশকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ঢোল-নগড়ার ধ্বনি, ফুলের মালা এবং সমর্থকদের জয়ধ্বনি পরিবেশকে আরও বিশেষ করে তুলেছিল। ঐতিহ্যবাহী সংবর্ধনা পেয়ে রুশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং হেসে সকলকে অভিবাদন জানান। এটিই ছিল জয়ের পর তাঁর প্রথম নাগপুর ফেরা এবং তিনি তাঁর শহরের এই বিপুল ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে পড়েন।

প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ

নাগপুরে পৌঁছানোর পর রুশ সিন্ধু নাগপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এই অনুষ্ঠানে তাঁর সাথে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়ার মাননীয় পরিচালক নিখিল আনন্দও উপস্থিত ছিলেন। কথোপকথনের সময় রুশ তাঁর যাত্রা, সংগ্রাম এবং স্বপ্ন সম্পর্কে মন খুলে কথা বলেন। তিনি বলেন যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান।

নাগপুরের কন্যা, দিল্লির পথ

রুশ সিন্ধু নাগপুরের রাজনগর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং বড় হয়েছেন। তিনি স্থপতি পরশন সিং-এর কন্যা। নাগপুরে স্কুলিং শেষ করার পর তিনি দিল্লি পাড়ি দেন এবং মডেলিংকে তাঁর পেশা হিসেবে বেছে নেন। দিল্লিই তাঁকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রানওয়ের জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। নিজের পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার জোরে তিনি দ্রুত পরিচিতি লাভ করেন।

মডেলিং থেকে গ্রন্থ পর্যন্ত যাত্রা

রুশ সিন্ধু কেবল মডেলিং-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। তিনি একজন লেখিকাও। তিনি "ইউনিভার্স উইদিন পিস" নামে একটি বই লিখেছেন, যেখানে আত্ম-প্রতিফলন এবং মানসিক নিরাময়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই বইটি তরুণদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এবং তাঁর ব্যক্তিত্বের সংবেদনশীল দিকটি তুলে ধরেছে।

রুশ মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি "মোরালাইজ মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন" নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই উদ্যোগের অধীনে তিনি স্কুল এবং কলেজগুলিতে বিনামূল্যে উদ্বেগ মূল্যায়ন, সহায়তা গোষ্ঠীর অধিবেশন এবং সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টাকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নও সম্মান জানিয়েছে।

অভিনয় এবং সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সাথে সংযোগ

রুশের বিনোদন জগতের সাথে সম্পর্ক অনেক পুরোনো। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি একটি টিভি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। ছোটবেলাতেই তিনি তাঁর প্রথম সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। ধীরে ধীরে এই আবেগ পেশায় রূপান্তরিত হয় এবং আজ তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন।

Leave a comment