NSC-তে ৪ লাখ বিনিয়োগে পাবেন ৫.৭৯ লাখ, জেনে নিন সম্পূর্ণ সুবিধা

NSC-তে ৪ লাখ বিনিয়োগে পাবেন ৫.৭৯ লাখ, জেনে নিন সম্পূর্ণ সুবিধা

NSC বিনিয়োগ: সরকারের ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (NSC) প্রকল্প হল এমন এক ক্ষুদ্র সঞ্চয় পরিকল্পনা, যেখানে নিরাপত্তা ও নিশ্চিত মুনাফা—দুটিই পাওয়া যায়। বর্তমানে বার্ষিক ৭.৭% চক্রবৃদ্ধি সুদে, যদি কেউ ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, ৫ বছরের শেষে সেই অঙ্ক দাঁড়াবে ৫.৭৯ লাখ টাকায়। বিনিয়োগের ওপর করছাড়ের সুবিধা ও ঋণের জামানত হিসেবে ব্যবহারযোগ্য হওয়ায়, এই স্কিমটি নিরাপদ সঞ্চয়ের অন্যতম জনপ্রিয় বিকল্প হয়ে উঠেছে।

NSC কী এবং কীভাবে কাজ করে

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা NSC হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সঞ্চয় প্রকল্প, যা ডাকঘরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মেয়াদ ৫ বছর এবং বিনিয়োগ করা যায় ১,০০০ টাকার গুণিতকে। সবচেয়ে বড় সুবিধা—এই প্রকল্পে সুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে, অর্থাৎ সুদের উপরও সুদ যুক্ত হয়।

৪ লাখ বিনিয়োগে ৫.৭৯ লাখ রিটার্ন

বর্তমান ৭.৭% সুদের হারে যদি কেউ ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদ শেষে পাবেন প্রায় ৫.৭৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ঝুঁকি ছাড়া প্রায় ১.৭৯ লাখ টাকার লাভ। যারা নিরাপদ বিনিয়োগে স্থিতিশীল মুনাফা চান, তাঁদের জন্য এই প্রকল্প আদর্শ।

করছাড় ও সুদের বাড়তি সুবিধা

NSC বিনিয়োগে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি অনুযায়ী বছরে সর্বাধিক ১.৫ লাখ টাকার করছাড় পাওয়া যায়। প্রতি বছরের অর্জিত সুদ পুনরায় বিনিয়োগ ধরা হয়, ফলে সেই অংশেও করছাড় প্রযোজ্য হয়। এতে বিনিয়োগকারীর মূলধন যেমন বাড়ে, তেমনই কর সঞ্চয়ও হয়।

 ঋণের জামানত হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য

NSC সার্টিফিকেটকে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সময় জামানত হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সরকারি গ্যারান্টি যুক্ত থাকায় এটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। তাই জরুরি অবস্থায় এটিকে অর্থসংস্থানের বিকল্প হিসেবেও কাজে লাগানো সম্ভব।

অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

যে কোনও পোস্ট অফিস শাখায় গিয়ে NSC অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। প্রয়োজন শুধু আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও KYC নথি। এককভাবে বা যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব।

ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা NSC হল ডাকঘরের একটি নিরাপদ সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্প, যেখানে স্থির সুদের হারে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন পাওয়া যায়। বর্তমানে ৭.৭% বার্ষিক সুদে, ৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ৫ বছরে মেলে প্রায় ৫.৭৯ লাখ টাকা। বিনিয়োগের পাশাপাশি এতে করছাড়ের সুবিধাও রয়েছে।

Leave a comment