নেপালে প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন। কুলমান ঘিসিং, ওম প্রকাশ আর্যল এবং রামেশ্বর খनल মন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেছেন। এই মন্ত্রীরা যথাক্রমে শক্তি, স্বরাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাবেন। দেশে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরে আসছে।
নেপাল মন্ত্রিসভা: নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক পরিবর্তন সমগ্র দেশের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পর নেপালে স্থিতিশীলতার দিকে প্রথম বড় পদক্ষেপ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কি দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী সুশিলা কার্কি তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন এবং তিন নতুন মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে নেপালে ধীরে ধীরে শান্তি পুনরুদ্ধার করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত নতুন নেতারা
সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুর 'শীতল निवास' রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে কুলমান ঘিসিং, ওম প্রকাশ আর্যল এবং রামেশ্বর খनल রয়েছেন। এই সমস্ত নেতাদের বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
- কুলমান ঘিসিংকে শক্তি, নগর উন্নয়ন এবং ভৌত অবকাঠামো মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই মন্ত্রকের অধীনে নেপালে বিদ্যুৎ, রাস্তা এবং অন্যান্য ভৌত সম্পদের উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত।
- ওম প্রকাশ আর্যলকে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাজ হল নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
- রামেশ্বর খनलকে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে নেপালের অর্থনৈতিক নীতি, বাজেট এবং আর্থিক পরিকল্পনা পরিচালিত হবে।
নেপালে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের পটভূমি
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে জেন-জি (Gen-Z) তরুণদের পক্ষ থেকে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছিল। এই বিক্ষোভগুলি ধীরে ধীরে সহিংস রূপ ধারণ করে। পুলিশের গুলিতে বহু তরুণ নিহত হয়।
এই ঘটনাগুলি দেশে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং নাগরিক অসন্তোষ বাড়িয়ে তোলে। এই অসন্তোষের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নেপালে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশিলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়।
সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া
যদিও নেপালে সম্প্রতি সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর জনগণের মধ্যে আশার নতুন আলো দেখা যাচ্ছে। তরুণ ও নাগরিকরা বিশ্বাস করেন যে এখন দেশে স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সরকার জনগণের কণ্ঠস্বর শোনার ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হবে।