নেপালে Gen-Z আন্দোলন ও জেল ভাঙার পর ধানুসায় স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, কারফিউ শিথিল

নেপালে Gen-Z আন্দোলন ও জেল ভাঙার পর ধানুসায় স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, কারফিউ শিথিল

নেপালের ধনুষা জেলায় Gen-Z আন্দোলনের মাঝে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নজরদারিতে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। জনসাধারণ সহযোগিতা করছে। জেল ভাঙ্গা ঘটনায় ১৩,৫৭২ বন্দী फरार হয়েছে।

Nepal Protest: নেপালের সীমান্তবর্তী জেলা ধনুষায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এখানে নেপালী সেনাবাহিনী (Nepal Army) স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পাচ্ছে। লোকেরা সেনাবাহিনীর নির্দেশাবলী মেনে চলছে এবং প্রশাসনের জারি করা নিয়মাবলী সমর্থন করছে। গত দুদিন ধরে চলা বৃষ্টিও উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশকে কিছুটা শান্ত করতে সাহায্য করেছে।

কারফিউতে শিথিলতা

নেপালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (Defense Ministry) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্রমাগত সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দেখে মন্ত্রণালয় কারফিউ (Curfew) কিছুটা শিথিল করতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত সরকারি কর্মচারী, ব্যাংক কর্মী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এই সময়ে বিমানবন্দর থেকে উড়ান গ্রহণকারী যাত্রীরাও তাদের টিকিট দেখিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।

কারফিউয়ের সময়সূচী

মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুসারে, সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সামান্য শিথিলতার সাথে কারফিউ জারি থাকবে। এরপর সন্ধ্যা সাতটা থেকে পরের দিন সকাল ছয়টা পর্যন্ত পুনরায় কারফিউ কার্যকর হবে। এই ব্যবস্থার ফলে নাগরিক ও সরকারি কর্মচারীরা প্রয়োজনীয় কাজের জন্য সুবিধা পাচ্ছেন। জনকপুরধামে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ (Security Forces) পুরো এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে।

নেপালে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের পর জেলBreak

নেপালে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের কারণে দেশজুড়ে জেল থেকে বড় আকারের বন্দীদের পালানোর ঘটনা সামনে এসেছে। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সূত্র অনুসারে মোট ১৩,৫৭২ বন্দী জেল এবং পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে। প্রধান জেলগুলো থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের সংখ্যা নিম্নরূপ:

  • ঝুমকা জেল: ১৫৭৫
  • নাক্কু জেল: ১২০০
  • দিল্লি বাজার জেল: ১১০০
  • কাস্কি জেল: ৭৭৩
  • চিতवन জেল: ৭০০
  • কৈলালী জেল: ৬১২
  • জলেশ্বর জেল: ৫৭৬
  • নবলপরাসি জেল: ৫০০ এর বেশি
  • সিঁধুলীগঢ়ী জেল: ৪৭১
  • কান্চनपुर জেল: ৪৫০
  • গৌর জেল: ২৬০
  • দাঁড় জেল: ১২৪
  • সোলোখুম্বু জেল: ৮৬
  • বাজহাং জেল: ৬৫
  • জুমলা জেল: ৩৬

অন্যান্য জেল এবং পুলিশ হেফাজত থেকেও অনেক বন্দী পালিয়েছে। সব মিলিয়ে দেশজুড়ে ১৩,৫৭২ বন্দী এই সহিংস ঘটনাপ্রবাহে পালাতে সক্ষম হয়েছে।

সেনাবাহিনী ও পুলিশের সতর্কতা

জেল থেকে বন্দীদের পালানো এবং সহিংসতার মধ্যে নেপালের নিরাপত্তা বাহিনী সতর্কতা বাড়িয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ক্রমাগত এলাকায় নজরদারি করছে। নেপাল সরকার সতর্কবার্তা জারি করেছে যে কারফিউ নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces) স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।

নাগরিক ও যানবাহনের উপর প্রভাব

কারফিউ শিথিল করার পরেও, যাতায়াতের সময় মানুষকে পরিচয়পত্র বা টিকিট দেখানো বাধ্যতামূলক। এর ফলে সরকারি কর্মচারী ও জরুরি পরিষেবার সাথে জড়িত লোকেরা তাদের কাজে যেতে পারছেন। অন্যদিকে, সাধারণ নাগরিক ও যাত্রীদের জন্যও সীমিত সময়ে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে প্রশাসন এবং নাগরিকদের মধ্যে সহযোগিতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।

Leave a comment