KIT-এর নতুন Wi-Fi প্রযুক্তি মানুষের উপস্থিতি শনাক্ত করবে: গোপনীয়তার মারাত্মক ঝুঁকি!

KIT-এর নতুন Wi-Fi প্রযুক্তি মানুষের উপস্থিতি শনাক্ত করবে: গোপনীয়তার মারাত্মক ঝুঁকি!

জার্মানির Karlsruhe Institute of Technology (KIT)-এর বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা সাধারণ Wi-Fi সিগনাল ব্যবহার করে ঘরে উপস্থিত মানুষের উপস্থিতি এবং চলাফেরা শনাক্ত করতে পারে। এই গবেষণা প্রযুক্তিগতভাবে প্রভাবশালী, তবে এটি গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষায় গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, তাই সতর্কতা অপরিহার্য।

Wi-Fi গোপনীয়তার হুমকি: জার্মানির Karlsruhe Institute of Technology (KIT)-এর বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা সাধারণ Wi-Fi সিগনাল ব্যবহার করে ঘরে উপস্থিত মানুষের পরিচয় এবং গতিবিধি শনাক্ত করতে পারে। এই আবিষ্কার বাড়ি, অফিস এবং পাবলিক প্লেসে অননুমোদিত ট্র্যাকিংয়ের জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে কোনো বিশেষ ডিভাইসের প্রয়োজন নেই, কেবল একটি সাধারণ Wi-Fi ইউনিট এবং বিমফর্মিং ফিডব্যাক সিগনালের বিশ্লেষণই যথেষ্ট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গোপনীয়তার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

Wi-Fi শুধু ইন্টারনেট প্রদানে সীমাবদ্ধ নয়

জার্মানির Karlsruhe Institute of Technology (KIT)-এর বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যা সাধারণ Wi-Fi সিগনাল ব্যবহার করে ঘরে উপস্থিত মানুষের উপস্থিতি এবং তাদের গতিবিধি শনাক্ত করতে পারে। এই সিস্টেম রেডিও তরঙ্গের আচরণ পড়ে পরিবেশের রূপরেখা তৈরি করে, যেমন ক্যামেরা আলো থেকে দৃশ্য তৈরি করে।

কীভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি

এই প্রযুক্তির জন্য কোনো বিশেষ হাই-টেক ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না। যেকোনো সাধারণ Wi-Fi ইউনিট, যা বিমফর্মিং ফিডব্যাক ইনফরমেশন (BFI) পাঠায়, এই কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। BFI সিগনাল ডিভাইসগুলির মধ্যে এনক্রিপশন ছাড়াই আদান-প্রদান হয় এবং তৃতীয় পক্ষ দ্বারা এগুলি পড়া যেতে পারে। গবেষকরা একাধিক পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে এই সিগনালগুলি থেকে শনাক্তকরণের হার অত্যন্ত উচ্চ ছিল।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য হুমকি

এই নতুন প্রযুক্তির অর্থ হলো, বাড়ি, অফিস বা পাবলিক প্লেসে যেকোনো অননুমোদিত ব্যক্তি বা সংস্থা সহজেই উপস্থিতি রেকর্ড করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ কোনো রেস্তোরাঁ বা ক্যাফের Wi-Fi-এর পাশ দিয়ে যায়, তবে তার উপস্থিতি লগ করা হতে পারে এবং ডেটা ট্র্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিরাপত্তা ও সতর্কতা জরুরি

বিজ্ঞানীরা এই প্রযুক্তিকে একটি গবেষণামূলক অর্জন হিসেবে দেখেন, তবে এর সামাজিক, নৈতিক এবং আইনি পরিণাম নিয়ে গুরুতর চিন্তাভাবনা করা জরুরি। সাধারণ মানুষকে তাদের Wi-Fi সেটআপ, পাবলিক নেটওয়ার্কে সংযোগের অভ্যাস এবং ডিভাইস নিরাপত্তার প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। ইন্টারনেট স্পিডের উদ্বেগের পাশাপাশি এখন এটিও ভাবা জরুরি যে আমাদের রাউটার কখন এবং কীভাবে আমাদের গোপনীয়তা প্রকাশ করতে পারে।

Wi-Fi ব্যবহার করে ঘরে উপস্থিত মানুষকে শনাক্ত করার এই প্রযুক্তি প্রযুক্তিগতভাবে দারুণ, তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং ডেটা গোপনীয়তার দৃষ্টিকোণ থেকে এটিকে নিয়ন্ত্রিত ও সুরক্ষিত উপায়ে প্রয়োগ করা জরুরি। সাধারণ ব্যবহারকারীদেরও সচেতন থেকে তাদের অনলাইন গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।

Leave a comment