উত্তরবঙ্গ ঘূর্ণিঝড় ক্ষয়ক্ষতি: ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার নবান্নে জরুরি রিভিউ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পংয়ের শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিব জানতে চান, ঝড়-বৃষ্টিতে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং কোথায় এখনও ত্রাণ শিবির চলছে। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও ক্যাম্পে রয়েছেন। দুধিয়া ব্রিজ এলাকায় সতর্কতা জারি রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা
‘মন্থা’ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রবল ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে, রাস্তা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।
ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় হাজারেরও বেশি মানুষ
জলপাইগুড়িতে এখনও এক হাজার বাসিন্দা ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন। আলিপুরদুয়ারে প্রায় ১৫০ জন ও দার্জিলিঙে বহু মানুষকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, “পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্প চালু থাকবে।” জেলা প্রশাসনকে তিন দিন পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

দুধিয়া ব্রিজ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা, জানালেন মুখ্যসচিব
বৈঠকে মুখ্যসচিব বিশেষভাবে দুধিয়া ব্রিজ এলাকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তিনি জানান, অতিবৃষ্টিতে ব্রিজের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই চলাচলে নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে সেতুর স্থায়িত্ব নিয়মিত পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন নবান্ন
বৈঠকে পাঁচ জেলার আধিকারিকদের কাছ থেকে মুখ্যসচিব বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তলব করেন। কৃষিক্ষেত্র, সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ পরিষেবা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দ্রুত জানাতে বলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-য় ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনায় নবান্নে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পংয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট চান। বেশ কয়েকটি জেলায় এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন শতাধিক মানুষ।










