নাক দিয়ে বারবার রক্ত পড়া শুধু গরম বা শুষ্ক আবহাওয়ার ফল নয়, বরং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে। একটানা বা বেশি রক্ত পড়লে তা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সময় মতো চিহ্নিত করে সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিলে গুরুতর পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব।
Nosebleed: গরমকালে নাক দিয়ে রক্ত পড়া সাধারণ ঘটনা বলে মনে করা হয়, কিন্তু বারবার এমন হওয়া উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর রোগের লক্ষণ হতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় একে এপিস্ট্যাক্সিস বলা হয়, যা বেড়ে যাওয়া রক্তচাপের কারণে নাকের ভিতরের সরু রক্তনালী ফেটে গেলে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি রক্ত পড়া ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে না থামে, অথবা এর সঙ্গে মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত, কারণ এটি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের মতো জরুরি অবস্থার ইঙ্গিত হতে পারে।
নাক দিয়ে রক্ত কেন পড়ে?
নাকের ভিতরে অত্যন্ত সরু রক্তবাহী নালী থাকে, যেগুলোকে ক্যাপিলারি বলা হয়। এই নালীগুলো খুব নাজুক হয় এবং বেশি চাপ সহ্য করতে পারে না। যখন রক্তচাপ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন এই নালীগুলোর উপর চাপ বাড়ে এবং সেগুলো ফেটে যেতে পারে। এই কারণে হঠাৎ করে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিকে ডাক্তারি ভাষায় এপিস্ট্যাক্সিস বলা হয়। বিশেষত, যখন ব্লাড প্রেসার ১৬০/১০০ মিমিএইচজি-এর উপরে চলে যায়।
শুধু আবহাওয়া নয়, উচ্চ রক্তচাপও কারণ
অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে গরম হাওয়া, শুষ্কতা বা শরীরে জলের অভাবের কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এটা সত্যি যে এই কারণগুলোও দায়ী হতে পারে, কিন্তু বারবার রক্ত পড়া কেবল আবহাওয়ার প্রভাব নয়। এটি আপনার শরীরে চলা গুরুতর পরিবর্তনের ইঙ্গিতও হতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, যাকে প্রায়শই ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়, এর বড় কারণ হতে পারে।
কোন লক্ষণগুলোর ওপর নজর দেওয়া জরুরি
যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথার মতো সমস্যাও থাকে, তাহলে এটিকে অবহেলা করা উচিত নয়। এই লক্ষণগুলো ইঙ্গিত দেয় যে রক্তের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং এটি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়া उन রোগীদের ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষণ হিসেবে প্রমাণিত হয়, যাঁদের আগে থেকে জানা নেই যে তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কী করা উচিত
যদি হঠাৎ করে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে, তাহলে প্রথমে ঘাবড়াবেন না। রোগীকে सीधा করে বসান এবং মাথাটিকে সামান্য সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন যাতে রক্ত গলায় না যায়। নাকের উপরের অংশটি হালকা চাপে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ধরে চেপে ধরে রাখুন। কপালে ঠান্ডা पट्टी বা বরফ রাখলে রক্ত পড়া বন্ধ হতে সাহায্য করে। যদি রক্ত পড়া ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে না থামে বা বারবার এমন হয়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।
কখন পরিস্থিতি गंभीर হয়
নাক দিয়ে রক্ত পড়ার পরিস্থিতি सामान्यও হতে পারে, কিন্তু যখন রক্তের পরিমাণ বেশি হয়, দীর্ঘ সময় ধরে রক্ত পড়তে থাকে অথবা এর সঙ্গে অজ্ঞান হওয়া, तेज মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা এবং বুকে ব্যথার মতো সমস্যাও থাকে, তখন এটি गंभीर হতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে পৌঁছনো জরুরি, কারণ এটি স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের মতো পরিস্থিতির দিকেও ইঙ্গিত করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ থেকে বিপদ
উচ্চ রক্তচাপকে প্রায়শই নীরব রোগ বলা হয়, কারণ शुरुआती সময়ে এর লক্ষণগুলো খুব হালকা থাকে বা অনেক সময় নজরেই আসে না। কিন্তু যখন ব্লাড প্রেসার খুব বেড়ে যায়, তখন এটি हृदय, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং চোখের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নাক দিয়ে বারবার রক্ত পড়া এর शुरुआती সতর্কতা সংকেত হিসেবে ধরা হয়। এই কারণে ডাক্তার নিয়মিত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন, যাতে সময় থাকতে রোগটিকে চিহ্নিত করা যায়।
বাঁচার জন্য কী জরুরি
নাক দিয়ে রক্ত পড়া এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নুনের सेवन सीमित করা, तनाव কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা এবং পরিবেশে नमी বজায় রাখাটাও मददगार। গরমকালে নাককে শুকনো হওয়া থেকে বাঁচাতে হালকা ঘি বা नारियल তেল লাগালেও উপকার পাওয়া যায়।