ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) বিশ্বের প্রথম ১০টি মূল্যবান স্টক এক্সচেঞ্জ ব্র্যান্ডের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। ব্র্যান্ড ফিনান্সের রিপোর্ট অনুসারে, NSE নবম স্থান অধিকার করেছে এবং এর ব্র্যান্ড মূল্য ৩৯% বেড়ে ৫২৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। একই সাথে, আয় এবং মুনাফাতেও শক্তিশালী বৃদ্ধি નોંધ করা হয়েছে।
NSE in Top 10: ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE) প্রথমবারের মতো বিশ্বের সেরা ১০টি স্টক এক্সচেঞ্জ ব্র্যান্ডের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। ব্রিটেনের ব্র্যান্ড মূল্যায়ন সংস্থা ব্র্যান্ড ফিনান্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, NSE সরাসরি নবম স্থান অর্জন করেছে। ২০২৫ সালে এর ব্র্যান্ড মূল্য ৩৯% বেড়ে ৫২৬ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে NSE-এর আয় ২৫% বেড়ে ১৪,৭৮০ কোটি টাকা এবং মুনাফা ১৩% বেড়ে ৮,৩০৬ কোটি টাকা হয়েছে। এই কৃতিত্ব IPO-র শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ কার্যকলাপের কারণে অর্জিত হয়েছে।
ব্র্যান্ড মূল্যে ৩৯ শতাংশের অসাধারণ বৃদ্ধি
২০২৫ সাল NSE-এর জন্য খুবই বিশেষ প্রমাণিত হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, NSE-এর ব্র্যান্ড মূল্যে ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এখন এর মোট মূল্য ৫২৬ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪৩০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে NSE-এর পরিচিতি শুধুমাত্র ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেই শক্তিশালী হচ্ছে না, বরং বিশ্বজুড়েও এর নাম দ্রুত বাড়ছে।
বিশ্বের সপ্তম শক্তিশালী ব্র্যান্ড
ব্র্যান্ড ফিনান্সের অন্য একটি রিপোর্টে NSE শক্তি বা দৃঢ়তার বিচারে সপ্তম স্থান পেয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে NSE ১০০-এর মধ্যে ৭৮.১ পয়েন্ট পেয়েছে এবং AA+ রেটিং পেয়েছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে বাজারে NSE-এর দখল ক্রমশ বাড়ছে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা এর উপর ক্রমাগত বাড়ছে।
আয় এবং মুনাফায় ক্রমাগত বৃদ্ধি
শুধু ব্র্যান্ড ভ্যালু নয়, NSE-এর আয় এবং মুনাফা উভয়ই দারুণ গতিতে বাড়ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে NSE ১৪,৭৮০ কোটি টাকা আয় করেছে। এই সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। মুনাফার কথা বললে, এটি ১৩ শতাংশ বেড়ে ৮,৩০৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে দেখায় যে NSE-এর ব্যবসা ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে এবং এর আর্থিক স্বাস্থ্য চমৎকার অবস্থায় রয়েছে।
আইপিও-র সাফল্য প্রধান শক্তি
NSE-এর এই সাফল্যের পেছনে একটি বড় কারণ হল আইপিও-র চমৎকার পারফরম্যান্স। ২০২৪ সালে মোট ৯১টি কোম্পানি NSE-এর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের আইপিও লঞ্চ করেছে। এই আইপিও থেকে প্রায় ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরো বছরের চিত্র দেখলে দেখা যায় যে NSE-এর মাধ্যমে মোট ৩.৭৩ লক্ষ কোটি টাকার ইক্যুইটি ফান্ড বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান দেখায় যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে NSE-এর উপর আস্থা ক্রমাগত বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে NSE-এর অবস্থান
বিশ্বের বড় স্টক এক্সচেঞ্জগুলির মধ্যে NSE প্রথমবারের মতো নিজের জায়গা করে নিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্র্যান্ড মূল্যের দিক থেকে আমেরিকার Nasdaq শীর্ষে রয়েছে। Nasdaq আবারও প্রথম স্থান অধিকার করেছে। যেখানে, শক্তির বিচারে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জ (HKEX) সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। HKEX ১০০-এর মধ্যে ৮৯.১ স্কোর পেয়েছে এবং এটিকে AAA রেটিং দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য গর্বের মুহূর্ত
NSE-এর এই কৃতিত্ব ভারতকে বিশ্ব আর্থিক বাজারে নতুন পরিচিতি দিয়েছে। এখন ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে শুধু অভ্যন্তরীণ স্তরেই নয়, বিশ্বের বড় বাজারগুলির তালিকাতেও গণ্য করা হবে। এটি ভারতের আর্থিক খাতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং শক্তিরও প্রমাণ।