অপারেশন ডিপ মেনিফেস্ট: ভারতে পাক পণ্যের চোরাচালান রুখতে বড় পদক্ষেপ

অপারেশন ডিপ মেনিফেস্ট: ভারতে পাক পণ্যের চোরাচালান রুখতে বড় পদক্ষেপ

ভারত 'অপারেশন ডিপ মেনিফেস্ট' শুরু করেছে। এই অভিযানে পাকিস্তান থেকে আসা ১২.০৪ কোটি টাকার পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পণ্যটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ভারতে আনা হচ্ছিল। মোট ৫টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

নয়াদিল্লি: ভারত সরকার পাকিস্তান থেকে আসা অবৈধ পণ্যের চোরাচালান রোধ করার জন্য একটি কঠোর অভিযান 'অপারেশন ডিপ মেনিফেস্ট' শুরু করেছে। এই অপারেশনের অধীনে, এখন পর্যন্ত ১২.০৪ কোটি টাকা মূল্যের পাকিস্তান-নির্মিত পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই তথ্য সংসদকে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। তিনি জানান, এই পণ্য সরাসরি পাকিস্তান থেকে নয়, বরং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ভারতে আনা হচ্ছিল। সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তান থেকে আসা চোরাচালানের ওপর কড়া নজর রাখা এবং তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

'অপারেশন ডিপ মেনিফেস্ট'-এর শুরু এবং উদ্দেশ্য

মে ২০২৫-এ ভারত পাকিস্তানে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিন্দুর' চালায়, যেখানে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে নির্ভুল হামলা করা হয়েছিল। এর পরে, পাকিস্তান থেকে আসা অবৈধ জিনিসপত্র বন্ধ করার জন্য আরও একটি অপারেশন 'ডিপ মেনিফেস্ট' শুরু করা হয়েছে। এই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য হল পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা পণ্যের চোরাচালান বন্ধ করা, বিশেষ করে সেই ক্ষেত্রে যেখানে পণ্য তৃতীয় দেশ যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ভারতে আনা হয়।

পাকিস্তান থেকে কীভাবে ভারতে পণ্য পৌঁছত?

তদন্তে জানা গেছে যে চোরাচালানের নেটওয়ার্কটি খুব সুসংগঠিত। পণ্য প্রথমে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে দুবাইতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আলাদা আলাদা কন্টেনারে ভরে ভারতের বিভিন্ন বন্দরে পাঠানো হয়। এই পণ্য জেবেল আলি পোর্ট (দুবাই) থেকে ভারতীয় বন্দরগুলোতে পৌঁছানো হয়। এইভাবে চোরাচালান করা হচ্ছে যাতে সরাসরি পাকিস্তান থেকে আসা পণ্যের পরিচয় না পাওয়া যায়।

সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর তথ্য

অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সংসদে জানান যে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত এই অপারেশনের অধীনে মোট পাঁচটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলাগুলোতে বাজেয়াপ্ত করা পাকিস্তান-নির্মিত পণ্যের মোট মূল্য ১২ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। সমস্ত ক্ষেত্রেই এই পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ভারতে আনা হয়েছিল। তিনি আরও জানান যে এই অপারেশনের অধীনে কাস্টম কর্মকর্তারা আরও ১৩টি মামলায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকার অবৈধ আমদানিও ধরেছেন। এইগুলোতে অনেকবার DGFT-এর ২ মে তারিখের বিজ্ঞপ্তি সহ অন্যান্য আইনি নিয়ম লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আগের বড় পদক্ষেপ - ২৬ জুনের মামলা

সরকার ২৬ জুন ২০২৫-এও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই দিন ৩৯টি কন্টেনারে প্রায় ১১১৫ মেট্রিক টন পাকিস্তান-নির্মিত পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই পণ্যের মূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। এই মামলায় একটি আমদানিকারক কোম্পানির অংশীদারকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপটি পাকিস্তান থেকে আসা চোরাচালান বন্ধ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

সরকারের কঠোর নীতি

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরে, ভারত পাকিস্তান থেকে আসা সমস্ত আমদানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞার অধীনেই 'অপারেশন ডিপ মেনিফেস্ট' শুরু করা হয়েছে যাতে পাকিস্তান থেকে কোনো প্রকার অবৈধ বা নিষিদ্ধ পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে না পারে। এই অভিযান ভারতের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থকে শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

চোরাচালান বন্ধ করার জন্য চলছে তদন্ত

বর্তমানে তদন্তকারী সংস্থাগুলো এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, চোরাচালানের এই জাল অনেক বিস্তৃত এবং জটিল। এই ধরনের নেটওয়ার্ককে ধরতে প্রতিটি স্তরে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি এটাও ध्यान রাখা হচ্ছে, विदेश থেকে আসা পণ্যের সম্পূর্ণ जांच हो। এই সঙ্গে এও ध्यान रखा হচ্ছে, বিদেশ থেকে আসা পণ্যের সম্পূর্ণ जांच हो, ताकि কোনও অবৈধ वस्तु भारत में न प्रवेश कर सके। यह भी ध्यान रखा जा रहा है कि विदेशों से आ रहे माल की पूरी जांच हो ताकि कोई भी अवैध वस्तु भारत में न प्रवेश कर सके।

Leave a comment