পাকিস্তানের মন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

পাকিস্তানের মন্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

পাকিস্তান মন্ত্রী মহসিন নকভি, মহররম উপলক্ষে পণ্ডিতদের এক বৈঠকে জানান যে ভারত মে মাসে তাদের বিমান ঘাঁটিতে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যদিও কোনো ক্ষতি হয়নি। ভারতকে আল্লাহ্‌র ভয় দেখানোর কথাও বলা হয়।

Pak News: প্রায় দু’মাস আগে সংঘটিত ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর, এবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ভারত নিয়ে একটি বড় দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত পাকিস্তানের একটি বিমান ঘাঁটিতে ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এই হামলার সময় বিমানঘাঁটিতে বিমান এবং পাকিস্তানী বিমানবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। যদিও তিনি এ কথাও স্বীকার করেছেন যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর দ্বারা কোনো ভৌত ক্ষতি হয়নি।

ধর্মীয় নেতাদের সামনে প্রকাশ

এই ঘোষণাটি ৩ জুলাই, ২০২৫ তারিখে মহররম উপলক্ষে আয়োজিত একটি বিশেষ বৈঠকে করা হয়। এই বৈঠকে পাকিস্তানের ইসলামিক স্কলার এবং উলামারা উপস্থিত ছিলেন। মহসিন নকভি এসময় তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, যখন ভারতের দিক থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়, তখন আল্লাহ্‌ পাকিস্তানের সাহায্য করেন এবং কোনো বড় ক্ষতি হয়নি।

নকভির বক্তব্য – ‘আমরা বীরত্বের সাথে লড়েছি’

মহসিন নকভি এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানী সেনার প্রশংসা করে বলেন যে, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। নকভি বলেন, যখন এই হামলা হয়, তখন আমাদের আর্মি চিফ সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস এবং স্পষ্ট চিন্তাভাবনা নিয়ে অবিচল ছিলেন। তিনি আরও বলেন, যদি ভারত হামলা করে, তবে পাকিস্তান তার চারগুণ জবাব দেবে।

‘ভারতের ক্ষতি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়’

নকভি আরও বলেন যে, পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ভারতের সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করা বা সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ানো নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল দেশ এবং তারা কোনো প্রকার সংঘাতকে উৎসাহিত করতে চায় না।

ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

মহররমের অনুষ্ঠানে আয়োজিত এই বৈঠকে নকভি ইসলামিক স্কলারদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন যে, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই ধর্মগুরুদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, যেভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করে, ঠিক সেভাবেই ধর্মগুরুরাও সমাজে শান্তি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে সাহায্য করেন।

গলিতে-মহল্লায় শান্তি স্থাপনের দৃষ্টান্ত

নকভি বলেন, পাকিস্তানে প্রতিটি গলি, প্রতিটি মহল্লায় ধর্মগুরুরা সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি স্থাপনের কাজে নিয়োজিত থাকেন। তিনি বলেন, অনেক সময় যেখানে প্রশাসন পৌঁছাতে পারে না, সেখানে এই ধর্মীয় নেতৃত্বই সমস্যাগুলোর সমাধান করে থাকে। নকভি নিজে দেখেছেন কীভাবে এই লোকেরা অনেক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছেন।

Leave a comment