ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো পাকিস্তান

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করে পাকিস্তান ক্রিকেট দল ১৩ রানে জয়ী হয়েছে। এই ম্যাচটি লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়াম টার্ফ গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়।

স্পোর্টস নিউজ: পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ: পাকিস্তান ক্রিকেট দল তৃতীয় এবং নির্ণায়ক টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে। এই ম্যাচটি আমেরিকার লডারহিলের সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়াম টার্ফ গ্রাউন্ডে খেলা হয়।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৯ রান করে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল ১৭৬ রান করতে সক্ষম হয়।

ওপেনিং জুটির জয়ের ভিত্তি স্থাপন

পাকিস্তানের এই জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে তাদের ওপেনিং জুটি। সাহেবজাদা ফারহান এবং সাইম আইয়ুব দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এবং প্রথম উইকেটের জন্য ১৩৮ রানের বড় পার্টনারশিপ গড়েন। দুই ব্যাটসম্যান পাওয়ারপ্লেতে ঝুঁকিপূর্ণ শট নেওয়া থেকে বিরত থেকে ইনিংসকে স্থিতিশীল করেন এবং মাঝের ওভারগুলোতে আগ্রাসী হয়ে রানের গতি বজায় রাখেন।

সাহেবজাদা ফারহান যেখানে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে একের পর এক চার-ছক্কা হাঁকান, সেখানে সাইম আইয়ুব একটি সতর্ক ভঙ্গিতে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান। তবে এই দু'জন আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডার প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি এবং স্কোর ১৮৯ রানে সীমিত থাকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াকু ইনিংস

১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা টালমাটাল ছিল। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জুয়েল অ্যান্ড্রু কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন এবং ১৫ বলে ২৪ রান করেন, কিন্তু তিনি বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এলিক আথানাজে একদিক ধরে রাখেন এবং ৪০ বলে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন, যেখানে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল।

অধিনায়ক শাই হোপ মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে যান, অন্যদিকে শেরফেন রাদারফোর্ড শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন এবং ৫০+ রানের একটি লড়াকু ইনিংস খেলেন। রাদারফোর্ডকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি ম্যাচটি শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন।

শেষ ওভার ছিল নির্ণায়ক

ম্যাচের উত্তেজনা সেই সময় চরম শিখরে পৌঁছায় যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ওভারে ২৫ রানের প্রয়োজন ছিল এবং তাদের হাতে ৫ উইকেট অবশিষ্ট ছিল। ক্রিজে শেরফেন রাদারফোর্ড ৫১ রান করে টিকে ছিলেন, কিন্তু হাসান আলি তৃতীয় বলে তাঁকে আউট করে পাকিস্তানকে স্বস্তি এনে দেন। সাহেবজাদা ফারহান একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা ভেঙে দেন।

এরপর গুড্ডাকেশ মোতি চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ চেষ্টা করেন, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। পাকিস্তান ম্যাচটি ১৩ রানে জিতে নেয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর পাকিস্তানের আবারও আধিপত্য

এই জয়ের সাথে পাকিস্তান আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর তাদের আধিপত্য প্রমাণ করেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি। এটি টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা এবং চাপের মধ্যে পারফর্ম করার ক্ষমতাকে दर्शाता।

এই ম্যাচে পাকিস্তানের জন্য আরও একটি বড় বিষয় ছিল যে অধিনায়ক আগা সালমান সঠিক সময়ে বোলারদের পরিবর্তন করেন এবং দলকে ভারসাম্য রাখেন। বোলিংয়ে হাসান আলি, শাদাব খান এবং হারিস রউফের মতো খেলোয়াড়রা শেষ ওভারগুলোতে দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রান করতে বাধা দেন।

Leave a comment