লোকসভা নির্বাচনের আবহে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুটি আলাদা জায়গায় ভোটার পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই তেজস্বীর বিরুদ্ধে গুরুতর প্রশ্ন তুলে বলেছেন, দুটি জায়গায় নাম নথিভুক্ত করে তিনি নিজেকেই প্রকাশ করে দিয়েছেন। রাই দাবি করেছেন, হারের ভয়ে তেজস্বী যাদব এখন অজুহাত দেখাচ্ছেন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, একজন নাগরিকের নাম শুধুমাত্র একটি ভোটার তালিকাতেই থাকা উচিত, কিন্তু তেজস্বী যাদবের নাম দুটি জায়গায় নথিভুক্ত রয়েছে, যা একটি গুরুতর বিষয়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তেজস্বী শুধু জনগনকে বিভ্রান্ত করছেন তাই নয়, निर्वाचन কমিশনের উপর মিথ্যা অভিযোগ করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন। রাইয়ের মতে, নির্বাচন কমিশন সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রমাণ পেশ করেছে, যার ফলে তেজস্বীর দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
জনতা সব দেখছে
তেজস্বী যাদবের প্রতি নিশানা করে নিত্যানন্দ রাই আরও বলেছেন যে তাঁর গণতন্ত্রের মর্যাদা বজায় রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন লড়া উচিত ছিল, কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক আচরণে সমাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন যে বিহারের জনগণ এখন তেজস্বীর এই প্রতারণা বুঝতে পেরেছে এবং আসন্ন নির্বাচনে এর যোগ্য জবাব দেবে। রাই বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে মানুষ সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে জানে এবং সময় এলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।
কেসি ত্যাগীও আপত্তি জানিয়েছেন
জেডিইউ-এর वरिष्ठ নেতা কেসি ত্যাগীও এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে নির্বাচনের মতো স্পর্শকাতর সময়ে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া শুধু অনুচিতই নয়, বরং এর ফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। ত্যাগী নির্বাচন কমিশনের স্পষ্টীকরণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তেজস্বী যাদবের নাম বিহারের খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে এবং তাঁর দাবি তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়।
রাজনীতি সরগরম
তেজস্বী যাদবের উপর লাগা এই নতুন অভিযোগে বিহারের রাজনীতি আরও সরগরম হয়ে উঠেছে। বিরোধী দল যেখানে এই বিষয়টিকে নিয়ে আক্রমণাত্মক, সেখানে আরজেডি এখনও পর্যন্ত এর সরাসরি কোনো সাফাই দেয়নি। এখন সকলের নজর জনগনের সিদ্ধান্তের উপর এবং নির্বাচন কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।