পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জুন মাসের পর থেকে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। ঘরবাড়ি ধসে পড়া, ডুবে যাওয়া এবং বন্যার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
Pakistan Mansoon: পাকিস্তানে এই বছর বর্ষার বৃষ্টি বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে। জুন মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির কারণে અત્યાર સુધી ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে ১০০ জন শিশুও রয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (NDMA) अनुसार, সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে পঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধু প্রদেশে।
অঞ্চলভিত্তিক মৃতের সংখ্যা
NDMA-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্জাবে ১২৩ জন, খাইবার পাখতুনখোয়াতে ৪০ জন এবং সিন্ধু প্রদেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বালুচিস্তানে ১৬ জন, ইসলামাবাদে ১ জন এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বাড়ি ধসে পড়া ও বন্যা মৃত্যুর কারণ
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, মোট ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বাড়ি ধসে পড়ার কারণে এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ৩০ জন মারা গেছেন। এছাড়া আরও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ডুবে যাওয়া, বাজ পড়া এবং ভূমিধসের মতো কারণে।
রাওয়ালপিন্ডিতে পরিস্থিতি গুরুতর
রাওয়ালপিন্ডিতে আকস্মিক বন্যা শহরটিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং বাজার জলমগ্ন হয়ে গেছে। জলের স্তর এতটাই বেড়ে গেছে যে অনেক এলাকায় বাড়ির ছাদ পর্যন্ত জল পৌঁছে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে হয়েছে।
৫৬০ জনের বেশি আহত, শিশুদের সংখ্যা বেশি
বৃষ্টি ও বন্যার কারণে અત્યાર સુધી ৫৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশুও রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। NDMA ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত রয়েছে, কিন্তু लगातार বৃষ্টির কারণে ত্রাণকার্যে বাধা আসছে।
ফয়সালাবাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ফয়সালাবাদে মাত্র দুই দিনে ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। এখানে বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ বাড়ি ধসে যাওয়া। স্থানীয় প্রশাসন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে স্কুল ও অন্যান্য সর্বজনীন স্থানকে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রূপান্তরিত করেছে।
চাকওয়ালে রাস্তা ভেসে গেছে
চাকওয়াল অঞ্চলেও পরিস্থিতি খারাপ রয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে এখানে কমপক্ষে ৩২টি রাস্তা ভেসে গেছে, যার ফলে পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে बाधित হয়ে গেছে। ত্রাণকারী দলগুলোকে দুর্গম এলাকায় পৌঁছাতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
জাতিসংঘের (UN) તાજા রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং গিলগিট বালতিস্তান অঞ্চলে হিমবাহের হ্রদ ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি এমনটা হয়, তাহলে বন্যার পরিস্থিতি আরও गंभीर হতে পারে।
NDMA-এর পরামর্শ
NDMA সকল নাগরিককে সতর্ক থাকার এবং অপ্রয়োজনীয় যাত্রা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। প্রশাসন সমস্ত স্থানীয় সংস্থাকে সতর্ক করেছে এবং ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা দ্রুত করছে। স্থানীয় পুলিশ, দমকল এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে সহযোগিতা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ স্থানে पहुंचाया হচ্ছে।