পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে। এতে ৫ জন জওয়ান নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। পাল্টা আক্রমণে ৫ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা ও তল্লাশি অভিযান চলছে।
Pakistan: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সন্ত্রাসবাদীরা আবারও নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এই সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ৫ জন জওয়ানের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা সোমবার এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেওয়া দেশ এখন বিপর্যস্ত
পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি ক্রমাগত গুরুতর প্রমাণিত হচ্ছে। পাকিস্তানে সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হচ্ছেন। গত কিছুদিনে সন্ত্রাসবাদীরা বড় আকারের হামলা চালিয়েছে। এইবার খাইবার পাখতুনখোয়ায় হওয়া ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
হামলা কিভাবে হয়েছে
কর্মকর্তাদের মতে, রবিবার গভীর রাতে হাঙ্গু জেলার তোরা ওয়ারাই এলাকায় সন্ত্রাসবাদীরা ফ্রন্টিয়ার কনস্টেবুলারি (Frontier Constabulary) শিবিরে হামলা চালায়। এই হামলায় ৩ জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। এর ঠিক আগে খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকায় গুলিবর্ষণে দুই নিরাপত্তা কর্মীর প্রাণহানি ঘটে।
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশন
অন্য একটি ঘটনায়, আপার দির জেলায় পুলিশ এবং সন্ত্রাস দমন বিভাগ যৌথ অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৫ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। তবে, এই অভিযানের সময় একজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ৭ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, আপার দিরের দোবান্দো, বিরকোট, সালাম কোট এবং আতান্দ্রা এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চলছে।
জুনে হওয়া সহিংসতার পরিসংখ্যান
রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়েছে। জুন মাসে পাকিস্তানে ৭৮টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই সহিংসতা ও অভিযানে মোট ১৭৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিসংখ্যান নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা নির্দেশ করে।
খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তান এই দুটি অঞ্চল আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং ঐতিহাসিকভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য সংবেদনশীল বলে মনে করা হয়। এখানে নিরাপত্তা বাহিনী ক্রমাগত সতর্ক রয়েছে, কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের কৌশল এবং হামলার প্রকৃতি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলোকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।