Spinach in Daily Diet: পুষ্টিবিদদের মতে, রোজকার খাবারে আয়রন ও ফাইবারসমৃদ্ধ শাকসবজি থাকা জরুরি, বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। পালং শাক সেই প্রয়োজন পূরণ করে তার অগণিত গুণে। এতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন K ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা শরীরকে শক্তিশালী রাখে ও ক্লান্তি দূর করে।

সকালের শুরু হোক পালং স্মুদিতে
দিনের শুরুতে এক গ্লাস স্মুদি শরীরকে দেয় শক্তি ও সতেজতা। কলা, আপেল বা বেরির সঙ্গে এক মুঠো পালং ব্লেন্ড করলে তৈরি হয় প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিংক। এতে মিলবে আয়রন, ফাইবার ও ভিটামিন C—যা ক্লান্তি দূর করে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখে।

প্রোটিনে ভরপুর পালং ওমলেট
ডিমের সঙ্গে কুচানো পালং, পেঁয়াজ ও কাঁচালঙ্কা মিশিয়ে তৈরি এই ওমলেট প্রোটিন ও আয়রনের মেলবন্ধন। সকালে এটি খেলে শরীরে আসে তৃপ্তি ও উদ্যম, আর ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
তাজা পালং স্যালাডে স্বাস্থ্য আর স্বাদ
চেরি টমেটো, শসা, বাদাম ও অলিভ অয়েলের সঙ্গে পালং মিশিয়ে তৈরি স্যালাড ফাইবারে ভরপুর। ফেটা চিজ বা পনির যোগ করলে বাড়ে প্রোটিন, যা ডায়েট সচেতনদের জন্য আদর্শ বিকল্প।

পালং ডাল ও স্যুপে আরাম ও পুষ্টি
মুগ বা মসুর ডালের সঙ্গে কুচানো পালং রান্না করে তৈরি হয় হালকা অথচ পুষ্টিকর খাবার। অপরদিকে, পালং স্যুপ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, কারণ এতে ফ্যাট কম, কিন্তু পুষ্টিগুণ বেশি।
পালং পরোটা ও পালক পনিরে ভারতীয় স্বাদ
গমের আটায় পালং পেস্ট মিশিয়ে তৈরি পরোটা যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর। আর পালক পনিরে মেলে প্রোটিন ও শাকের নিখুঁত মেলবন্ধন—যা দুপুর বা রাতের খাবারে উপযুক্ত।
পালং ভাত ও পাস্তা সসে বৈচিত্র্য
সেদ্ধ ভাতে পালং পেস্ট মিশিয়ে তৈরি করা যায় একপাত্রের স্বাস্থ্যকর খাবার। আবার পালং, রসুন ও অলিভ অয়েল ব্লেন্ড করে তৈরি সসে মেশালে সাধারণ পাস্তাও পায় পুষ্টিগুণের ছোঁয়া।

রোজকার খাদ্যতালিকায় পালং শাক রাখলে শরীর পায় প্রাকৃতিক আয়রন ও ফাইবার বুস্ট। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন K—যা রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়, হজম উন্নত করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার রাখে।











