প্রেমে বিয়ের পর নরক যন্ত্রণা! নিজের বাবার হাতেই খুন হয়ে রেললাইনে মিলল প্রেমিক যুগলের দেহ

প্রেমে বিয়ের পর নরক যন্ত্রণা! নিজের বাবার হাতেই খুন হয়ে রেললাইনে মিলল প্রেমিক যুগলের দেহ

पटना-এ প্রেম করে বিয়ে করার জন্য মেয়ের বাবা ও চাচা महादेव গ্যাং-এর সঙ্গে মিলে মেয়ে ও তার স্বামীর হত্যা করেন। দুজনের দেহ রেললাইনের উপর ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, মূল ষড়যন্ত্রকারী পলাতক।

पटना: বিহারের পাটনার ধনরুয়া থানা এলাকার একটি প্রেমের গল্প এক হৃদয়বিদারক মোড় নিয়েছে। রেললাইনের উপর পাওয়া যুবক-যুবতীর ছিন্নভিন্ন দেহ প্রথমে এটিকে দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে সন্দেহ তৈরি করেছিল, কিন্তু পুলিশের তদন্ত এক মর্মান্তিক সত্য উন্মোচন করেছে। ঘটনাটি ছিল একটি পরিকল্পিত "হনার কিলিং", যেখানে মেয়ের প্রেম পরিবারের কাছে এতটাই অগ্রহণযোগ্য ছিল যে বাবা ও চাচা মিলে একটি গ্যাং-এর সাহায্যে তাদের হত্যা করেন।

মন্দিরে বিয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিবাদ

তথ্য অনুযায়ী, ধনরুয়া এলাকার लवली এবং সুবোধ কুমার ওরফে লোহা যাদব একে অপরকে ভালোবাসতেন। দুজনে গত ৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পালিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন এবং রামকৃষ্ণনগর-এ একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এই সম্পর্ক लवली-র পরিবার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি।

পরিবারের বিরক্তি ধীরে ধীরে ক্ষোভে পরিণত হয়। বাবা অরুণ যাদব এবং চাচা সুনীল কুমার যখন দু'জনের ঠিকানা জানতে পারেন, তখন তারা সহযোগী সহ ভাড়া বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে দুজনকে নির্মমভাবে মারধর করা হয় এবং জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

রেললাইনের উপর ফেলে দেওয়া হয় দেহ

পুলিশি তদন্তে জানা যায় যে এই হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রে কুখ্যাত "মহাদেব গ্যাং" জড়িত ছিল। দুজনকে কেওয়াড়া থানা এলাকার চন্দন নগর রেললাইনের কাছে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর দেহ দুটি রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়, যাতে প্রথম নজরে এটি দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে মনে হয়।

কিন্তু বৈজ্ঞানিক তদন্ত এবং দেহগুলির অবস্থা স্পষ্ট করে দেয় যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত প্রমাণ পুলিশকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয় এবং পরিবারের উপর সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।

প্রমাণ লুকানোর চেষ্টায় বাড়িওয়ালা গ্রেপ্তার

নগর পুলিশ সুপার (পূর্ব) পরিচার্য কুমার প্রেস কনফারেন্সে জানান যে রামকৃষ্ণনগর-এ অবস্থিত ভাড়া বাড়ির তল্লাশিতে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। বাড়িওয়ালী রাকি দেবী কেবল পুলিশকে খবর দিতেই অবহেলা করেননি, বরং প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টাও করেছিলেন। এর জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজন অভিযুক্ত - রাহুল কুমার, দীনবন্ধু কুমার এবং বাড়িওয়ালী রাকি দেবীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে, যা মামলার যোগসূত্র স্থাপন করতে সাহায্য করছে।

মূল ষড়যন্ত্রকারী পলাতক

এসপি পরিচার্য কুমার জানান যে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন মেয়েটির বাবা অরুণ যাদব এবং চাচা সুনীল কুমার। দুজনেই পলাতক এবং তাদের সন্ধানে পুলিশ ক্রমাগত তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে যে মেয়েটি এবং ছেলেটি ভিন্ন ভিন্ন জাতের ছিল, এবং এই কারণেই পরিবার তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। জাতি এবং সামাজিক সম্মানের নামে নেওয়া এই পদক্ষেপ সমাজের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং ভয়াবহ।

Leave a comment