পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে গণবিক্ষোভ: পুলিশ ও জনগণের আন্দোলনে অচল PoK, ইন্টারনেট বন্ধ, সেনা মোতায়েন

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে গণবিক্ষোভ: পুলিশ ও জনগণের আন্দোলনে অচল PoK, ইন্টারনেট বন্ধ, সেনা মোতায়েন

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) পুলিশকর্মী এবং আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি (AAC) বেতন ও উন্নত সুযোগ-সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। ধর্মঘট ও রাস্তা অবরোধের কারণে প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত, সরকার নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে।

পাকিস্তান সংবাদ: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশকর্মী এবং আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি (AAC) সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে। পুলিশকর্মীরা বেতন বৃদ্ধি, উন্নত সুযোগ-সুবিধা এবং সরকারি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করার পর আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

পুলিশের ধর্মঘট এবং আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ

PoK-এর পুলিশ তাদের দাবির সমর্থনে ধর্মঘট শুরু করেছে। এর প্রভাব পুরো অঞ্চলে দেখা গেছে। পুলিশের ধর্মঘটের কারণে অনেক সরকারি অফিস এবং পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি গুরুতর দেখে সরকার পুরো PoK জুড়ে ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে। এই সময়ে অনেক এলাকায় রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

পাকিস্তান সরকারের কঠোর পদক্ষেপ

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাকিস্তান সরকার রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৭,০০০ পুলিশকর্মী এবং ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের জওয়ান PoK-তে পাঠিয়েছে। এই সকল জওয়ানদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং বিক্ষোভ দমন করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে যাতে তথ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় এবং বিক্ষোভকারীরা তাদের আন্দোলনকে সংগঠিত করতে না পারে।

পুলিশকর্মীদের অসন্তোষের কারণ

PoK-এর পুলিশকর্মীদের অসন্তোষ বহু বছর ধরে গভীর। তারা সরকারের কাছে মোট ১১টি দাবি পেশ করেছিল। এর মধ্যে বেতন বৃদ্ধি, ঝুঁকি ভাতা, উন্নত আবাসন, সরকারি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করার পর পুলিশকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং প্রতিবাদ শুরু হয়।

আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির সমর্থন

পুলিশের প্রতিবাদের পাশাপাশি আওয়ামি অ্যাকশন কমিটিও মাঠে নেমেছে। AAC সরকার ও সেনাবাহিনীর নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং অনেক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীরা সরকারের নীতি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকার বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা

সরকার বিক্ষোভ দমনের জন্য বৃহৎ পরিসরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। ইন্টারনেট বন্ধ করার পাশাপাশি, পুলিশ এবং ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের জওয়ানরা রাজধানী এবং প্রধান শহরগুলিতে সতর্ক অবস্থায় ছিল। তবে, স্থানীয় লোকেরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে এবং প্রশাসনের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

Leave a comment