গাজায় আল-জাজিরার সাংবাদিকদের হত্যা: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নিন্দা

গাজায় আল-জাজিরার সাংবাদিকদের হত্যা: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নিন্দা

কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী গাজায় আল-জাজিরার পাঁচ সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডকে জঘন্য অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, সত্যের জন্য দাঁড়ানোর সাহস ইসরায়েলি সহিংসতা ও ঘৃণার কাছে কখনও হার মানবে না।

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র গাজায় আল-জাজিরার পাঁচ সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডকে একটি ভয়ানক এবং জঘন্য অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এটিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমাগত চলমান অত্যাচারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ইসরায়েলি সহিংসতা ও ঘৃণার বিরুদ্ধে সত্যের জন্য অসীম সাহস নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সাংবাদিকদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।

গাজায় আল-জাজিরার সাংবাদিকদের নৃশংস হত্যা: একটি আন্তর্জাতিক উদ্বেগ

আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের মতে, গাজা সিটিতে একটি পরিকল্পিত বিমান হামলায় পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আনাস আল-শরিফ। এই হামলা শুধু সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি, বরং কীভাবে সত্যের কণ্ঠরোধ করার জন্য নির্দয়ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাও তুলে ধরেছে। সাংবাদিকদের কাজ হল সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক ও নিরপেক্ষ খবর পৌঁছে দেওয়া, কিন্তু এই হামলা গণমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখার প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এই ঘটনাকে শুধু একটি সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড নয়, বরং ফিলিস্তিনের জনগণের উপর চলমান অত্যাচারের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা শুধু মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, এটি আন্তর্জাতিক আইনেরও প্রকাশ্য লঙ্ঘন।

সত্যের জন্য অটল সাহসই ঘৃণা ও সহিংসতার চেয়ে বড় হাতিয়ার

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর পোস্টে বলেছেন, "সত্যের জন্য দাঁড়ানোর অসীম সাহস, ইসরায়েলি সহিংসতা ও ঘৃণার কাছে কখনও হার মানবে না।" তাঁর এই উক্তি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ভয়কে উপেক্ষা করে তাঁদের কণ্ঠস্বর আরও উচ্চকিত করতে উৎসাহিত করে।

প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন যে, আজকের বিশ্বে গণমাধ্যমের একটি বড় অংশ ক্ষমতা ও ব্যবসার চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা থেকে দূরে সরে গেছে, কিন্তু এই সাহসী সাংবাদিকরা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে প্রকৃত সাংবাদিকতা কী। তাঁরা শুধু খবর দেন না, মানবতার জন্য লড়াই করেন।

তিনি মনে করেন যে সাংবাদিকদের এই সাহসিকতা এবং সত্যের জন্য তাঁদের সংগ্রাম কখনও বৃথা যাবে না। তিনি সাংবাদিকদের আত্মার শান্তি কামনাও করেন।

ফিলিস্তিনের জনগণের সাথে সংহতি
 
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে গাজা ও ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে আসছেন। তিনি বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেন এবং মানবিক আইনের লঙ্ঘন বন্ধ করার দাবি জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ও এই হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করে নিন্দা করেছে। এ ধরনের হামলা, যেখানে নিরীহ নাগরিক, বিশেষ করে সাংবাদিকদের নিশানা করা হয়, তা বিশ্ব শান্তি ও ন্যায়ের জন্য হুমকি।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কণ্ঠস্বর শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বজুড়েও ইসরায়েলি অত্যাচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে উঠছে। তিনি ক্রমাগত বলছেন যে ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্টকে উপেক্ষা করা যায় না এবং তাদের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত।

সাংবাদিকদের হত্যায় বাড়ছে উদ্বেগ

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য এই হামলা একটি কালো দিন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাংবাদিকদের নিশানা করে তাঁদের হত্যা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ যে তারা এই বিষয়ে কীভাবে পদক্ষেপ নেয়।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই বিবৃতি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে ভারতেও এ ধরনের ঘটনার উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে। তিনি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় ক্রমাগত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তাঁর এই কণ্ঠস্বর সাংবাদিকদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যারা বিপদ সত্ত্বেও তাঁদের কর্তব্য পালন করে চলেছেন। এই ঘটনা সাংবাদিকতার জন্য হুমকি হওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রেও একটি সতর্কবার্তা।

Leave a comment