মেঘালয়ের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ডোনওয়া ডেথওয়েলসন লাপাং, যিনি স্নেহের 'মা keseluruhan' নামে পরিচিত ছিলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলংয়ের একটি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
শিলং: মেঘালয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ডোনওয়া ডেথওয়েলসন লাপাং ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন লাপাং, শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলংয়ের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মেঘালয় সরকার তাঁর সম্মানে সোমবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ঘোষণা করেছে।
ডোনওয়া লাপাংয়ের রাজনৈতিক জীবন ও অবদান
ডোনওয়া লাপাংয়ের জন্ম হয়েছিল ১০ এপ্রিল ১৯৩২ সালে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল ১৯৭২ সালে, যখন তিনি নोंगপোহ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর, ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি চারবার মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। লাপাং দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস দলের একজন বিশ্বস্ত সদস্য ছিলেন, তবে ২০১৮ সালে তিনি ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-তে যোগ দিয়ে রাজ্যের রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি বজায় রাখেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তিনি মেঘালয় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক যাত্রায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ১৯৯২ সালে গঠিত রি-ভৌই জেলা গঠনে তাঁর ভূমিকা। এছাড়াও, লাপাং মেঘালয়ের উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
লাপাংয়ের শৈশব ছিল অত্যন্ত সাধারণ
ডোনওয়া লাপাংয়ের শৈশব ছিল অত্যন্ত সাধারণ। তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে একটি চায়ের দোকান পরিচালনায় সাহায্য করতেন এবং তরুণ বয়সে শ্রমিক, শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন। জীবনের এক সাধারণ শুরু সত্ত্বেও, তিনি তাঁর পরিশ্রমী ও সৎ মানসিকতা দিয়ে রাজনীতিতে এক দীর্ঘ ও সফল কর্মজীবন গড়ে তুলেছিলেন। তাঁর বিনয়ী স্বভাব এবং জনগণের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা তাঁকে 'মা keseluruhan' নামে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তিনি সবসময় জনগণের কাছাকাছি থাকা একজন নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
লাপাংয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা ভিনসেন্ট এইচ. পালা, অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণ মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। হাসপাতাল এবং নोंगপোহে তাঁর বাড়িতে বহু মানুষ শেষ বিদায় জানাতে পৌঁছেছেন। মেঘালয় সরকার তাঁর সম্মানে সোমবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ঘোষণা করেছে। এই শেষকৃত্য রাজ্যের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হবে, যেখানে নেতা, নাগরিক এবং তাঁর সমর্থকরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।