পাঞ্জাবের ল্যান্ড পুলিং স্কিমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ: কৃষকদের জয়

পাঞ্জাবের ল্যান্ড পুলিং স্কিমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ: কৃষকদের জয়

পাঞ্জাব সরকারের ল্যান্ড পুলিং স্কিমের উপর হাইকোর্টের চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ। কৃষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দিয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে পরিস্থিতি স্পষ্ট হবে।

Land Pooling Policy: পাঞ্জাবে চলমান ল্যান্ড পুলিং স্কিম নিয়ে কৃষকদের বিরোধিতা দীর্ঘ দিন ধরে চলছে। এই বিরোধিতার জেরে কিছু কৃষক পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে হাইকোর্ট কৃষকদের আপত্তিকে গুরুত্ব দিয়ে পাঞ্জাব সরকারের এই নীতির উপর পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

ল্যান্ড পুলিং স্কিম কী?

পাঞ্জাব সরকারের ল্যান্ড পুলিং পলিসির অধীনে কৃষকদের থেকে তাদের জমি নিয়ে সেটিকে উন্নত করা হয় এবং তারপর সেই উন্নত জমির একটি অংশ তাদের ফেরত দেওয়া হয়। সরকারের দাবি, এই নীতি অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে সাহায্য করবে এবং কৃষকদের উন্নত মূল্যের সঙ্গে আধুনিক সুবিধা প্রদান করবে।

কৃষকদের আপত্তি ও আশঙ্কা

যদিও, বহু কৃষক এই স্কিমের বিরোধিতা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই নীতির মাধ্যমে তাঁদের জমি জোর করে দখল করা হতে পারে। কৃষকদের আশঙ্কা, তাঁদের প্রতিশ্রুত অংশ বা ক্ষতিপূরণ সময় মতো মিলবে না এবং তাঁদের পৈতৃক জমি তাঁদের থেকে কেড়ে নেওয়া হবে। অনেক কৃষক এটিকে এক প্রকার জমি অধিগ্রহণ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রথম দিনের শুনানিতেই একদিনের স্থগিতাদেশ

এই মামলায় বুধবার প্রথম দিনের শুনানিতেই আদালত একদিনের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে পাঞ্জাব সরকারের কাছে জবাব চেয়েছিল। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে কৃষকদের আপত্তিকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে আদালত এই স্কিমের উপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ জারি করে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে।

হাইকোর্টের মনোভাব ও পরবর্তী শুনানির প্রত্যাশা

আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সরকার পর্যাপ্ত স্বচ্ছতা ও কৃষকদের সম্মতি ছাড়া এই ধরনের নীতি জোর করে চাপিয়ে দিতে পারে না। এখন আগামী চার সপ্তাহ পর্যন্ত এই স্কিম আর এগোবে না এবং এই সময়ের মধ্যে সরকারকে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করতে হবে। এই রায় কৃষকদের জন্য একটি বড় স্বস্তি বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তী শুনানিতে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে এই স্কিম কৃষকদের স্বার্থে আছে কি না।

সরকার কী বলছে?

পাঞ্জাব সরকারের দাবি, ল্যান্ড পুলিং নীতি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং এতে কৃষকদেরই লাভ হবে। সরকারের যুক্তি, যে জমিকে উন্নত করা হবে, তা উন্নত মূল্যে কৃষকদের ফেরত দেওয়া হবে, যা তাঁদের সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে অঞ্চল অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

Leave a comment