ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের সম্ভাবনার মধ্যে আমেরিকা ভারত সহ একাধিক দেশের উপর ৫০% শুল্ক চাপালো। ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে বিশ্ব নেতা হতে চান। ভারতের উপর এর গভীর প্রভাব পড়তে পারে।
Trump-Putine: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে নোবেল পুরস্কারের দৌড়ে এগিয়ে যেতে চান। এই কূটনৈতিক সমীকরণের মধ্যে আমেরিকা ভারত সহ একাধিক দেশের উপর ৫০% শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ভারতের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। প্রশ্ন হল, এটা কি বিশ্ব কৌশল নাকি শুধু রাজনৈতিক প্রচার?
ট্রাম্পের কূটনীতি নাকি পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা?
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার কৃতিত্ব নিতে চান। এর জন্য তিনি সরাসরি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করতে চান। খবর অনুযায়ী, এই বৈঠক শীঘ্রই হতে পারে। মনে করা হচ্ছে এর পর তিনি ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সঙ্গেও দেখা করবেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন যে রাশিয়া রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প এই আলোচনায় প্রস্তুত এবং পুতিন ও জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গেই শান্তি আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন।
আমেরিকার শুল্ক বোমা এবং ভারতের উপর প্রভাব
ট্রাম্প সম্প্রতি একাধিক দেশের উপর ৫০% শুল্ক চাপিয়েছেন, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। এর প্রভাব ভারতীয় রপ্তানিকারক এবং MSME-এর উপর সরাসরি পড়তে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে এই শুল্ক কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং রাজনৈতিক চাপের অংশ।
ট্রাম্প কি নোবেল চান?
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টাকে বিশ্বব্যাপী কৃতিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এর মাধ্যমে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার হতে চান। ট্রাম্পের বিশ্বাস, যুদ্ধ শেষ করে তিনি বিশ্ব মঞ্চে আবার শক্তিশালী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
ভারতের জন্য কি এটা বিপদের সংকেত?
ভারতের উপর চাপানো শুল্ক থেকে এটা স্পষ্ট যে ট্রাম্পের নীতি ‘America First’ অ্যাজেন্ডার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এতে ভারতের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়বে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং গুডস এবং ফার্মা সেক্টরের উপর এর প্রভাব পড়বে। ভারত সরকার এই সিদ্ধান্তের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক?
ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে। খবর আছে যে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যেও একটি শীর্ষ সম্মেলন হতে পারে। পুতিন ও জেলেনস্কির শেষ বৈঠক ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হয়েছিল।
আমেরিকার বিদেশমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন যে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের আগে একাধিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে আপাতত এই আলোচনা পাকা বলে ধরা যায় না।
ভারত রাশিয়া থেকে তেল ও অস্ত্র কিনে নিজের কূটনৈতিক স্বাধীনতা প্রদর্শন করেছে। কিন্তু এখন আমেরিকার শুল্ক সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের উপর চাপ বাড়তে পারে। নির্বাচনী বছরে ভারতের জন্য এটা বিশ্বস্তরে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ।