মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিস সরকার ধর্মীয় পর্যটনকে উৎসাহিত করতে এবং ভক্তদের আরও ভালো সুবিধা দিতে রাজ্যের পাঁচটি প্রধান জ্যোতির্লিঙ্গ স্থানের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
মুম্বই: মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের পাঁচটি প্রধান জ্যোতির্লিঙ্গ তীর্থস্থানের সামগ্রিক এবং সুপরিকল্পিত বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নেতৃত্বে সরকার এই প্রথমবার वरिष्ठ আইএএস আধিকারিকদের নিয়োগ করে এই প্রকল্পগুলির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দিয়েছে। এই আধিকারিকদের কাজ হল এই উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলির অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করা এবং সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করা।
কোন আধিকারিককে কোন প্রোজেক্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে?
মহারাষ্ট্র সরকার প্রতিটি জ্যোতির্লিঙ্গ স্থানের জন্য একজন করে वरिष्ठ আইএএস আধিকারিক নিয়োগ করেছে:
- भीमाशंकर (পুনে): ভি. রাধা, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, সাধারণ প্রশাসন বিভাগ
- ঘৃষ্ণেশ্বর (ছ. संभाजीनगर): বি. বেণুগোপাল রেড্ডি, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ
- ত্র্যম্বকেশ্বর (নাসিক): সৌরভ বিজয়, প্রধান সচিব, অর্থ বিভাগ
- ঔंढा নাগনাথ (হিংগোলি): রিচা বাগলা, প্রধান সচিব, অর্থ বিভাগ
- পরলি বৈজনাথ (বিড): আপ্পাসাহেব ধুলাজ, সচিব, অন্যান্য অনগ্রসর বহুজন কল্যাণ বিভাগ
উন্নয়ন প্রকল্পে কত খরচ হবে?
রাজ্য সরকার এই ধর্মীয় স্থানগুলির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কয়েকশো কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে:
- भीमाशंकर: ₹148.37 কোটি টাকা ব্যয়ে 11টি উন্নয়নমূলক কাজ
- ঘৃষ্ণেশ্বর: ₹156.63 কোটির সম্মিলিত পরিকল্পনা
- ত্র্যম্বকেশ্বর: ₹15.21 কোটিতে 275টি উন্নয়নমূলক কাজ
- পরলি বৈজনাথ: ₹286.68 কোটিতে 92টি পরিকল্পনা
- औंढा নাগনাথ: (বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে)
এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে অবকাঠামো, দর্শন সুবিধা, তীর্থযাত্রী সুবিধা, রাস্তা, শৌচাগার, জল ব্যবস্থা, ডিজিটাল নজরদারি ব্যবস্থা এবং সবুজ এলাকা উন্নয়ন।
সরকারের উদ্দেশ্য: ধর্মীয় পর্যটনকে উৎসাহিত করা
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (CMO) অনুসারে, এই উদ্যোগটি কেবল ভক্তদের আরও ভালো সুবিধা দেওয়ার দিকেই নয়, এটি ধর্মীয় পর্যটনকেও উৎসাহিত করবে, যা স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। প্রকল্পগুলির গুণগত মান বজায় রেখে সময় মতো সেগুলির বাস্তবায়ন সরকারের অগ্রাধিকার। वरिष्ठ আধিকারিকরা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট করবেন– মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়।
সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নকে সমন্বিত এবং স্বচ্ছ করার জন্য উচ্চ-স্তরের কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে সরকারি নির্দেশ (GRs) জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রতিটি আধিকারিক স্থানীয় প্রশাসন, তীর্থ ট্রাস্ট এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সাথে যোগাযোগ রেখে প্রকল্পের অগ্রগতি নিশ্চিত করবেন।