২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবের জুটি উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে জোর টক্কর দিয়েছে। এখন দুই নেতাই সংসদ এবং রাস্তায় একসঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। ২০২৭ সাল পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার ইঙ্গিত মিলেছে।
২০২৭ ইউপি নির্বাচন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (সপা) এবং কংগ্রেসের জুটি উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিয়েছিল। এই সময়ে রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবের রাজনৈতিক রসায়ন সকলকে অবাক করে। নির্বাচনের পরে উভয় দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির খবর আসে, কিন্তু এখন এই জুটিকে আবার শক্তিশালী দেখাচ্ছে। সংসদ থেকে রাস্তা পর্যন্ত দুই নেতাই একসঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে मोर्चा খুলেছেন। এটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৭-এর নির্বাচনেও তারা একসঙ্গে থাকবে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ‘দুই যুবকের জুটি’ দেখিয়েছে দম
উত্তর প্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ৩৩টি আসন পেয়েছে, যেখানে সপা ৩৭টি এবং কংগ্রেস ৬টি আসন জিতেছে। রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদব একসঙ্গে বিজেপিকে তার নিজের শক্তিতে দুর্বল করেছেন। রাহুল গান্ধী কান্নৌজে সপা-র জন্য প্রচার করেছেন এবং অখিলেশ যাদব রায়বেরেলিতে কংগ্রেসের জন্য জনসভা করেছেন। এইভাবে উভয় দল একসঙ্গে বিজেপির ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক রসায়ন হল শক্তি
সংসদের বাদল অধিবেশনে রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদব বিহারে ভোটার যাচাইকরণ এবং এসআইআর-এর মতো বিষয়গুলিতে একসঙ্গে আওয়াজ তুলেছেন। রাহুল গান্ধী সংসদে ভোট চুরির বিষয় উত্থাপন করলে অখিলেশ যাদব প্রকাশ্যে তাঁকে সমর্থন করেন। রাস্তায়ও দুই নেতা বিক্ষোভ করেছেন। পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেডের উপর উঠে অখিলেশ যাদব প্রতিবাদ জানান। এইভাবে দুই নেতাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে একে অপরের পাশে দেখা গেছে।
সম্পর্কে তিক্ততা এবং তারপর উন্নতি
লোকসভা নির্বাচনের পর কিছু সময়ের জন্য সপা-কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি দেখা যায়। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং উত্তর প্রদেশের উপনির্বাচনে উভয় দলের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদও সপা-র মুসলিম রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সম্ভল হিংসার ইস্যুতেও উভয় দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই মতভেদ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং রাহুল-অখিলেশের জুটি আবার একত্রিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন এবং ভোটার তালিকা বিতর্ক নিয়ে একসঙ্গে
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ভোটার তালিকায় গরমিল নিয়ে ২২ পাতার একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। তিনি ভোট চুরির অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন যে নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে জবাব দিতে হবে। অখিলেশ যাদবও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন যে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা একটি গুরুতর বিষয় এবং এই নিয়ে আলোচনা হওয়া জরুরি।
২০২৭-এর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু
এই রাজনৈতিক রসায়ন থেকে এটা স্পষ্ট যে সপা এবং কংগ্রেস ২০২৭-এর বিধানসভা নির্বাচনে আবার একসঙ্গে লড়বে। রাহুল গান্ধী এবং অখিলেশ যাদব দুজনেই নিজেদের শক্তিকে একত্রিত করে বিজেপিকে হারাতে চান। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসও এই জোট থেকে রাজনৈতিক অক্সিজেন পাচ্ছে। অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের জন্য এই জোট ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পথ খুলে দিতে পারে।