রাজস্থানের কুচামন সিটিতে জিমে শরীরচর্চা করার সময় বাইক শোরুম ও হোটেল মালিক রমেশ রুলানিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ রোহিত গোদারা গ্যাংয়ের উপর সন্দেহ প্রকাশ করছে এবং অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
ডিডওয়ানা: রাজস্থানের ডিডওয়ানা-কুচামন জেলার স্টেশন রোড এলাকায় মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। শহরের পরিচিত ব্যবসায়ী রমেশ রুলানিয়াকে জিমে শরীরচর্চা করার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রুলানিয়া একটি বাইক শোরুম এবং হোটেলের মালিক ছিলেন। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই পুরো এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।
জিমে রমেশ রুলানিয়ার উপর গুলি চালানো
মঙ্গলবার সকাল প্রায় ৭:৩০ মিনিটে রমেশ রুলানিয়া প্রতিদিনের মতো জিমে শরীরচর্চা করছিলেন। সেই সময় এক অজ্ঞাত দুষ্কৃতী হঠাৎ করে তাঁর উপর গুলি চালায়। গুলি লাগতেই রুলানিয়া সেখানেই লুটিয়ে পড়েন এবং হামলাকারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আশেপাশে উপস্থিত লোকজন দ্রুত তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনার সময় জিমে অন্যান্য লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের প্রাথমিক দল এলাকাটি ঘিরে ফেলে তদন্ত শুরু করে এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে।
চাঁদার হুমকি এবং হত্যা
পুলিশ সূত্রে খবর, রমেশ রুলানিয়াকে কিছুদিন আগে রোহিত গোদারা গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে চাঁদার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই গ্যাং রাজ্যের অনেক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দাবি করেছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হত্যা সেই হুমকিরই ফল হতে পারে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে এবং গ্যাংয়ের সমস্ত সম্ভাব্য সংযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এটিও দেখা হচ্ছে যে, অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল কিনা।
অভিযুক্তের সন্ধানে শহরে নাকা তল্লাশি
ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। এএসপি নেমেচাঁদ খারিয়া, ডেপুটি এসপি অরবিন্দ বিষ্ণোই এবং সিআই সতপাল সিংসহ একাধিক পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্তকে শনাক্ত করার জন্য আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সন্দেহভাজনদের খোঁজে শহর জুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু হয়েছে এবং জিমের আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ঘটনার পিছনে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
শহরে আতঙ্ক ও ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ জেলা হাসপাতালে পৌঁছে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে, পুলিশ সময়মতো পদক্ষেপ নিলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এএসপি জানিয়েছেন যে, শহরে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। পাশাপাশি, নাগরিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে যে, তারা কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানান।