রাজস্থানের বেহরোড়ে এক বাইক আরোহী দুষ্কৃতী প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিজড়া মধুকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমেছে এবং অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
আলওয়ার: রাজস্থানের বেহরোড় জেলার নিমরাণায় বুধবার দুপুরে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বাইক আরোহী এক দুষ্কৃতী মধুকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অভিযুক্তের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতিবাদের জন্য রাস্তায় নেমে আসে।
নিমরাণায় বাইক আরোহী হিজড়ার উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়
সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে প্রায় ১টা নাগাদ নিমরাণার মোলহডিয়া গ্রামের কাছে বাইক আরোহী এক দুষ্কৃতী হিজড়া গুরু শর্মাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত ঘটনাস্থলে আসে, গুলি চালায় এবং পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নিমরাণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শালিনী রাজ এবং পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের পরিচয় জানতে পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ

খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকেরা সিএইচসি গেটের সামনে জড়ো হয় এবং প্রতিবাদ শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দেয় এবং পুলিশের কাছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার দাবি জানায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, ফলে নিমরাণা, শাহজাহানপুর এবং মাঁধন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী আনা হয়।
প্রতিবাদের সময় পুলিশ হিজড়া সম্প্রদায়কে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং জানায় যে অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। তারা জনগণকে আইন হাতে না নেওয়ার এবং পুলিশকে তাদের কাজ করতে দেওয়ার আবেদন জানায়।
অভিযুক্তের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ
নিমরাণা থানা পুলিশ এই ঘটনায় একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। দলটি সিসিটিভি ফুটেজ, এলাকার সাক্ষী এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া প্রমাণাদির ভিত্তিতে অভিযুক্তের পরিচয় ও গ্রেফতারের জন্য তদন্ত করছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শালিনী রাজ জানিয়েছেন, এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আশেপাশের সমস্ত রাস্তা এবং প্রধান মোড়গুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, আশেপাশের গ্রামগুলিতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে যাতে কোনো অভিযুক্ত পালিয়ে যেতে না পারে।













