রাজ্যসভায় এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিরোধীদের তুমুল হট্টগোল। টিএমসি সাংসদ চেয়ারপার্সনের দিকে এগিয়ে যান। মহিলা মার্শাল ডাকতে হয়। হট্টগোলের মধ্যেই সমুদ্র বিল পাশ।
Rajyasbha: রাজ্যসভার অধিবেশন আজ বিরোধী দলগুলির প্রবল হট্টগোলের শিকার হয়। পরিস্থিতি এতটাই বেড়ে যায় যে টিএমসি সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর চেয়ারপার্সনের দিকে যাওয়ার সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সদনে মহিলা মার্শালদের ডাকতে হয়।
২টায় শুরু হতেই বিক্ষোভ শুরু
রাজ্যসভার বৈঠক দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী সাংসদরা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন রিকোয়েস্ট (SIR) নিয়ে হইচই শুরু করেন। তাঁরা এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। টিএমসি সাংসদরা স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে নেমে যান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই টিএমসি সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর চেয়ারপার্সনের দিকে যাওয়ার সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যান।
মহিলা মার্শালদের ডাকতে হয়
চেয়ারপার্সনের দিকে অগ্রসর হওয়া মমতা বালা ঠাকুরকে আটকাতে সদনে উপস্থিত মার্শালরা তৎপর হন। পরিস্থিতি দেখে অতিরিক্ত মহিলা মার্শালদের ডাকা হয় যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এই দৃশ্য রাজ্যসভার ভিতরে অসাধারণ এবং উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।
বিরোধীদের অভিযোগ: নিয়মের বৈষম্য
হট্টগোলের মধ্যে যখন ডেপুটি চেয়ারপার্সন বিরোধী দলের নেতাকে বলার সুযোগ দেন, তখন তিনি বলেন যে সদনে নিয়মকানুন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। তিনি বলেন যে একটি পক্ষকে পয়েন্ট অফ অর্ডারের সুযোগ না দেওয়া এবং অন্য পক্ষকে বক্তৃতা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া সংসদীয় ঐতিহ্যের পরিপন্থী। তাঁর মতে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি অবাস্তব এবং পক্ষপাতদুষ্ট ছিল।
জেপি নাড্ডা বিরোধীদের घेरেন
সংসদের নেতা জেপি নাড্ডা বিরোধী দলগুলোর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যে সদস্যরা সংসদের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের পয়েন্ট অফ অর্ডার নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই। নাড্ডা স্পষ্ট করেন যে সংসদকে व्यवस्थित রাখা কেবল ক্ষমতাসীন দলের নয়, বিরোধী দলেরও দায়িত্ব। তিনি বলেন, বিরোধীদের বাধার কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিরোধী সাংসদদের রণনীতি
যে বিরোধী সাংসদদের সমুদ্রে পণ্য পরিবহন বিল ২০২৫ নিয়ে বলার কথা ছিল, তাঁরাও নিজেদের আসনে না গিয়ে কেবল এসআইআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন। তাঁদের দাবি ছিল, সরকার প্রথমে এসআইআর নিয়ে আলোচনা করুক, তারপর কোনো বিল পেশ করা হোক। এই রণনীতির কারণে সংসদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে যায়।
সমুদ্রে পণ্য পরিবহন বিল ২০২৫ পাশ
তবে, হট্টগোলের মধ্যেও ডেপুটি চেয়ারপার্সন রাজ্যসভার কার্যক্রম চালিয়ে যান। এরই মধ্যে সমুদ্রে পণ্য পরিবহন বিল ২০২৫ ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়। এই বিলের মাধ্যমে সমুদ্র বাণিজ্য এবং পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত নতুন নিয়মাবলী তৈরি করা হবে, যা আধুনিক বিশ্ব মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।