দিল্লি সরকার ১৫ই অগাস্ট থেকে 'রাষ্ট্রনীতি' কর্মসূচি শুরু করছে। এর উদ্দেশ্য হল স্কুলের শিশুদের গণতন্ত্র, শাসন এবং নাগরিক দায়িত্বগুলির ব্যবহারিক ধারণা দেওয়া। ছাত্র সংসদ নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শিখবে।
Delhi Education Update: স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে দিল্লি সরকার একটি নতুন শিক্ষামূলক উদ্যোগ শুরু করতে চলেছে, যার নাম 'রাষ্ট্রনীতি'। এই কর্মসূচি দিল্লির সমস্ত সরকারি স্কুলে প্রয়োগ করা হবে। এর উদ্দেশ্য হল ছাত্রদের নৈতিক শাসন, গণতন্ত্র এবং নাগরিক দায়িত্বের প্রতি ব্যবহারিক জ্ঞান দেওয়া।
'রাষ্ট্রনীতি' কর্মসূচিটি কী?
'রাষ্ট্রনীতি' একটি শিক্ষামূলক এবং নাগরিক উন্নয়ন কর্মসূচি যা ছাত্রদের গণতন্ত্রের মৌলিক ধারণা, শাসন ব্যবস্থা এবং নীতি নির্ধারণের ব্যবহারিক তথ্য দেবে। এর লক্ষ্য শিশুদের মধ্যে একজন দায়িত্বশীল এবং সচেতন নাগরিকের বোধ তৈরি করা।
কর্মসূচির শুরু এবং উদ্দেশ্য
দিল্লি সরকার এই কর্মসূচিটি ১৫ই অগাস্ট ২০২৫ তারিখে শুরু করবে। শিক্ষা বিভাগের মতে, রাষ্ট্রনীতি কর্মসূচির অধীনে ছাত্ররা স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল:
- নৈতিক শাসনের ধারণা ব্যাখ্যা করা
- গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা
- নাগরিক অংশগ্রহণের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা
- নীতি নির্ধারণ এবং শাসনের ভূমিকার ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া
স্কুলগুলিতে ৭টি কমিটি গঠিত হবে
শিক্ষা বিভাগ প্রতিটি স্কুলে কমপক্ষে ৭টি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। এই কমিটিগুলি বিভিন্ন দায়িত্ব এবং বিষয়গুলি দেখভাল করবে:
- পরিবেশ কমিটি – পরিবেশ সুরক্ষা এবং সচেতনতা বিস্তারের উপর কাজ করবে
- অ্যান্টি-বুলিং কমিটি – স্কুলে ইতিবাচক এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা
- ক্যান্টিন কমিটি – খাবারের গুণমান এবং পুষ্টি নিরীক্ষণ করা
- স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা কমিটি
- সংলাপ কমিটি – ছাত্র এবং স্কুল প্রশাসনের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম
- সাংস্কৃতিক কমিটি – সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন
- শিক্ষা ও গ্রন্থাগার কমিটি – শিক্ষাগত গুণমান এবং সম্পদ নিয়ে কাজ করবে
নেতৃত্বের জন্য নির্বাচন হবে
এই কর্মসূচির একটি বিশেষত্ব হল কমিটিগুলির নেতৃত্ব ছাত্ররাই দেবে। তাদের জন্য একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষকরা শুধুমাত্র পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় থাকবেন। এইভাবে ছাত্ররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনুভব করবে এবং দায়িত্ব নিতে শিখবে।
গণতন্ত্রের ব্যবহারিক শিক্ষা
'রাষ্ট্রনীতি'র মাধ্যমে ছাত্রদের বোঝানো হবে যে গণতন্ত্র শুধু একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া নয়, বরং অংশগ্রহণ, দায়বদ্ধতা এবং নৈতিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি শাসন ব্যবস্থা। তারা জানতে পারবে যে একজন নাগরিক হিসেবে তাদের কী অবদান থাকতে পারে এবং তাদের কী কী দায়িত্ব পালন করা উচিত।
ছাত্রদের সামগ্রিক বিকাশের উপর জোর
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা, টিম ওয়ার্ক, যোগাযোগের দক্ষতা এবং নীতি নির্ধারণের ধারণা তৈরি হবে। পাশাপাশি তারা সরকারি কাজকর্ম, সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া এবং সামাজিক সমস্যাগুলির ব্যবহারিক সমাধান শিখতে পারবে।