রिलायंस গ্রুপ ১৮০ বিলিয়ন টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি সম্পদ-সমর্থিত সিকিউরিটিজের মাধ্যমে করা হবে, যার মেয়াদ ৩ থেকে ৫ বছর থাকবে এবং ব্যবস্থাপনা করছে বার্কলেজ পিএলসি। চুক্তিটি PTC ফর্ম্যাটে হবে এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এটি ভারতের অন্যতম বৃহত্তম সিকিউরিটাইজেশন ডিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Reliance Group: মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন রिलायंस গ্রুপ প্রায় ১৮০ বিলিয়ন টাকা (প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার) সংগ্রহের জন্য অ্যাসেট-ব্যাকড সিকিউরিটিজ জারি করতে চলেছে। এই চুক্তিটি পাস-থ্রু সার্টিফিকেট (PTC) ফর্ম্যাটে হবে, যার পিছনে থাকবে কোম্পানির পরিকাঠামো এবং টেলিকম বিভাগের ঋণ। এর মেয়াদ ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে রাখা হয়েছে এবং ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক বার্কলেজ পিএলসি-এর উপর ন্যস্ত। মনে করা হচ্ছে, এই চুক্তি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর নাগাদ সম্পন্ন হতে পারে এবং ভারতের সিকিউরিটাইজেশন বাজারে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে পারে।
পরিকাঠামো এবং টেলিকম-সম্পর্কিত ভিত্তি
তথ্য অনুযায়ী, এই সিকিউরিটিজগুলি একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে জারি করা হবে এবং এর পিছনে রिलायंसের পরিকাঠামো এবং টেলিকম বিভাগের ঋণকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এর ফলে বিনিয়োগকারীরা শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য সিকিউরিটিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই লেনদেনের ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক বার্কলেজ পিএলসি করছে এবং চুক্তিটি সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত রिलायंस বা বার্কলেজ কেউই এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
৩ থেকে ৫ বছরের মেয়াদ
এই সিকিউরিটিজগুলির মেয়াদ ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে নির্ধারিত হবে। এই সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ এবং স্থিতিশীল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রिलायंस-এর এই উদ্যোগ ভারতীয় সিকিউরিটাইজেশন বাজারে একটি নতুন মাইলফলক প্রমাণিত হবে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
এই চুক্তি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন রिलायंस আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে উত্তেজনা বিদ্যমান।
এমন পরিবেশে রिलायंस-এর এই আর্থিক কৌশল তার জন্য শক্তি হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ বিষয় হল, রिलायंस ইতিমধ্যেই বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম পরিশোধন সুবিধা পরিচালনা করছে এবং ক্রমাগত নতুন বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে।
ভারতে সিকিউরিটাইজেশন বাজারের অবস্থা
ভারতে সিকিউরিটাইজেশন বা প্রতিভূতিকরণের বাজার এখনও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয়নি, তবে এতে ক্রমাগত গতি আসছে।
আইসিআরএ-এর জুন ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ এই বাজার ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত এই বাজার প্রধানত এনবিএফসি অর্থাৎ নন-ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানিগুলির হাতে ছিল। কিন্তু রिलायंस-এর প্রবেশ এতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে।
কোম্পানি পাস-থ্রু সার্টিফিকেট (PTCs)-এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে
ভারতে এই ধরনের ডিল সাধারণত দুটি উপায়ে হয়। প্রথমটি হল ডাইরেক্ট অ্যাসাইনমেন্ট এবং দ্বিতীয়টি হল পাস-থ্রু সার্টিফিকেট (PTCs)। রिलायंस-এর চুক্তি PTC ফর্ম্যাটে হবে। এই মডেলে বিনিয়োগকারীরা উন্নত সুরক্ষা এবং স্বচ্ছতার সাথে বিনিয়োগের সুযোগ পায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রिलायंस-এর এই চুক্তি এই সেগমেন্টে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে
মনে করা হচ্ছে, পুরো চুক্তিটি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চূড়ান্ত হবে। রिलायंस এর আগেও তাদের আর্থিক চাহিদা পূরণের জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক উদ্ভাবনী পদ্ধতি চেষ্টা করেছে। এবারও কোম্পানি একটি নতুন এবং বড় পদক্ষেপ নিয়েছে, যা কেবল রिलायंस-এর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হবে না, ভারতের পুঁজি বাজারের জন্যও একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করতে পারে।