আরজি কর মেডিকেল কলেজ: আহত নির্যাতিতার মায়ের ঘটনার তদন্ত হাই কোর্টের নির্দেশে

আরজি কর মেডিকেল কলেজ: আহত নির্যাতিতার মায়ের ঘটনার তদন্ত হাই কোর্টের নির্দেশে

কলকাতা হাই কোর্ট: আরজি কর মেডিকেল কলেজের ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পর গত ৯ অগস্ট আহত হওয়া নির্যাতিতার মায়ের ঘটনা নিয়ে হাই কোর্ট নতুন নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের আদালত জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনার একজন ডিসি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করবেন তদন্ত পরিচালনার জন্য। এই তদন্তে হাসপাতালের যাবতীয় মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং প্রাথমিক রিপোর্ট পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। আদালত পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টকে সন্তোষজনক মনে করেনি।

আহত নির্যাতিতার মা ও মিছিলের ঘটনা

গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজের নির্যাতিতার মা তার মেয়ের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় পুলিশি হস্তক্ষেপে আহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। শেক্সপিয়র সরণি ও পার্ক স্ট্রিট থানার রিপোর্টে অস্পষ্টতা থাকায় পরিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নির্যাতিতার মায়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

হাই কোর্টের নির্দেশনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার একজন অফিসার পুরো ঘটনা তদন্ত করবেন। তদন্তে হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্টকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। যদি আদালত প্রমাণ গ্রহণযোগ্য মনে করেন, FIR করা হবে। অন্যথায় নিম্ন আদালতের অনুমতি নিয়ে অনুসন্ধান বন্ধ করা হবে।

পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট ও আদালতের উদ্বেগ

আদালতের পর্যবেক্ষণ, পার্ক স্ট্রিট ও শেক্সপিয়র সরণি থানার রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। দুটি থানার রিপোর্টে প্রায় একই ধরনের অস্পষ্ট তথ্য থাকায় আদালত উদ্বিগ্ন। বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, পুলিশ রিপোর্টে উল্লেখিত তথ্য সম্পূর্ণ সন্তোষজনক নয়।

পরিবারের অভিযোগ ও পুলিশি প্রতিক্রিয়া

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তাদের FIR দায়ের ও স্থানান্তরে অসুবিধা সৃষ্টি করেছে। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, প্রথমে শেক্সপিয়র সরণি থানায় FIR করতে বলা হয়, পরে পার্ক স্ট্রিট থানায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মারধরের প্রমাণ নেই, তবে প্রমাণ থাকলে পরিবারের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিকেল কলেজে নির্যাতিতার মায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত করা হবে ডিসি পদমর্যাদার একজন অফিসারের মাধ্যমে। আদালত বলেছে, হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্টসহ সমস্ত প্রমাণের ভিত্তিতে পুনঃতদন্ত হবে। থানা রিপোর্টের অস্পষ্টতা আদালতের উদ্বেগের কারণ হয়েছে।

Leave a comment