বোটক্স করানো অভিনেত্রীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ঋদ্ধি ডোগরার!

বোটক্স করানো অভিনেত্রীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য ঋদ্ধি ডোগরার!

ছোট পর্দা থেকে শুরু করে বড় পর্দা পর্যন্ত নিজের অভিনয় এবং সৌন্দর্যের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করা ঋদ্ধি ডোগরা সম্প্রতি বোটক্স এবং সার্জারি করানো অভিনেত্রীদের নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন।

বিনোদন: বলিউড এবং টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে আজকাল সৌন্দর্যের সংজ্ঞা অনেক বদলে গেছে। ক্যামেরার সামনে সবসময় তারুণ্যদীপ্ত এবং নিখুঁত दिखने জন্য অভিনেত্রীরা প্রায়ই বোটক্স, ফিলার এবং সার্জারির সাহায্য নেন। যদিও এর কুফল তারা ধীরে ধীরে অনুভব করতে শুরু করেছেন। এখন অনেকবার এমন দেখা যাচ্ছে যে, নির্মাতারা এই ধরনের মুখগুলোকে কাজ দেওয়া থেকে বাঁচছেন, যেগুলো কৃত্রিম লাগে বা একই রকম দেখতে হয়।

এই বিষয়ে ছোট পর্দা থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজে নিজের পরিচিতি তৈরি করা অভিনেত্রী ঋদ্ধি ডোগরা একটি বড়ো खुलासा করেছেন। ঋদ্ধি সম্প্রতি কৌতুকশিল্পী ভারতী সিং এবং তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাছিয়ার পডকাস্টে গিয়েছিলেন। এই সময় তিনি শুধু তাঁর পেশাগত জীবনের গল্পই বলেননি, ইন্ডাস্ট্রিতে বাড়তে থাকা বোটক্সের প্রবণতা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন।

ঋদ্ধি ডোগরাকে কেন হঠাৎ কাজ দেওয়া হয়েছিল?

পডকাস্ট চলাকালীন হর্ষ লিম্বাছিয়া বলেন, "আমার আজকাল একটি সমস্যা মনে হয় যে, সার্জারি এবং বোটক্সের পরে সব মেয়েদের একই রকম দেখতে লাগে।" এই কথা শুনে ঋদ্ধি হেসে সম্মতি জানান এবং এরপর তিনি একটি মজার কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির বাস্তবতাকে তুলে ধরা গল্প শোনান। ঋদ্ধি জানান, তিনি একটি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন, 'অসুর'-এর শুটিংয়ের সময় মানালিতে ছিলেন। তখনই হঠাৎ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে যে 'ঋদ্ধি, এটা খুব জরুরি।'

আমি জিজ্ঞাসা করি- কী হয়েছে? তখন উত্তর আসে যে, "যেই অভিনেত্রীকে রোলের জন্য সাইন করা হয়েছিল, সে এবং বাকি অভিনেত্রীদের সবাইকে একই রকম দেখতে লাগছে। সবার ঠোঁট বড়ো বড়ো, মুখে বোটক্স... আমাদের একটি স্বাভাবিক মুখ দরকার। তাই তোমার প্রোফাইল পাঠাও।" ঋদ্ধি বলেন, এটা শুনে আমার খুব অদ্ভুত লেগেছিল। আমি আমার বাকি বন্ধুদেরও পরামর্শ দিয়েছি যে, যদি ভালো কাজ পেতে চাও, তাহলে সার্জারি বা বোটক্স থেকে দূরে থাকা উচিত।

স্বাভাবিক চেহারার প্রত্যাবর্তন?

ঋদ্ধি ডোগরার এই বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, এখন ইন্ডাস্ট্রিতেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক চেহারার চাহিদা আবার ফিরে আসছে। নির্মাতারা পর্দায় ভিন্নতা চান, প্রতিটি চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা মুখ চান। যখন একই রকম চেহারার অভিনেত্রীরা সামনে আসেন, তখন চরিত্রগুলোর পরিচিতি এবং দর্শকদের মধ্যে তাদের সংযোগ দুর্বল হয়ে যায়। এই কারণে ঋদ্ধি ডোগরার মতো অভিনেত্রীরা, যারা এখনও পর্যন্ত তাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় রেখেছেন, তাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ঋদ্ধির বক্তব্য হল, এখন কম বয়সেও মেয়েরা মুখের ওপর নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে শুরু করেছে। তারা মনে করে যে, বোটক্স বা সার্জারি করলে তাদের ক্যারিয়ার দীর্ঘ হবে, কিন্তু আসলে উল্টোটা হয়। একবার মুখ খারাপ হয়ে গেলে, স্বাভাবিক অভিব্যক্তিও চলে যায়। এই কারণেই নির্মাতারা এখন এমন মুখগুলোকে আর নিতে চান না, যাদের ক্যামেরার সামনে একই রকম দেখতে লাগে।

ঋদ্ধি বলেন, "আমার খুব ভালো লাগছে যে আমি স্বাভাবিক এবং এই কারণে আমি ক্রমাগত ভালো রোল পাচ্ছি। নির্মাতারাও এখন বুঝতে পেরেছেন যে, ফেস ভ্যালু শুধু নিখুঁত ত্বক নয়, বরং স্বতন্ত্র অভিব্যক্তি এবং স্বাভাবিক চেহারা থেকেও আসে।"

ঋদ্ধি ডোগরার ক্যারিয়ার এবং স্বাভাবিক সৌন্দর্যের গুরুত্ব

ঋদ্ধি ডোগরা দীর্ঘ সময় ধরে টিভি এবং ওয়েব সিরিজের জগতে সক্রিয় রয়েছেন। 'মর্যাদা- লেকিন কব তক', 'অসুর', 'লক্ষ্মী', 'জेलर'-এর মতো সিনেমা এবং শো থেকে তিনি নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। বিশেষ বিষয় হল, তিনি কখনো তাঁর স্বাভাবিক সৌন্দর্যের সঙ্গে কোনো আপস করেননি। আজ যখন বলিউড এবং টিভিতে একই রকম দেখতে অভিনেত্রীদের বাতিল করা হচ্ছে, তখন ঋদ্ধির মতো অভিনেত্রীরা স্বাভাবিক সৌন্দর্যের জোরে ক্রমাগত ভালো এবং শক্তিশালী চরিত্র পাচ্ছেন।

Leave a comment