রয়্যাল এনফিল্ড সাফল্য: ২০০০ সালে প্রায় বন্ধের পথে রয়্যাল এনফিল্ড সংস্থা। বিক্রি তলানিতে, প্রযুক্তি পুরনো এবং গ্রাহক অভিযোগে জর্জরিত অবস্থায় ছিলেন তারা। তবে সিদ্ধার্থ লালের সাহসী ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থাটি পুনরুত্থিত হয়। তিনি ১৩ ব্যবসা বন্ধ করে শুধুমাত্র মূল ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন, গ্রাহক ও রাইডারদের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী ইঞ্জিন ও সার্ভিসিং সংস্কার করেন এবং এনফিল্ডকে আজকের সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেন।
সমস্যার সময় ও ব্যবসার সংকট
২০০০ সালের শুরুতে রয়্যাল এনফিল্ড একাধিক সমস্যার মধ্যে ছিল। বিক্রি তলানিতে, প্রযুক্তি পুরনো এবং গ্রাহক অভিযোগের চাপের কারণে সংস্থার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আইখার মোটরস প্রায় সংস্থাটিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল। তখন মোটরবাইক বাজারে প্রতিযোগিতা ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করাই প্রধান সমস্যা ছিল।
সিদ্ধার্থ লালের সাহসী সিদ্ধান্ত
সিদ্ধার্থ লাল সংস্থার পুনর্জীবনের দায়িত্ব নেন। তিনি ১৫টি ব্যবসার মধ্যে ১৩টি লোকসানভোগী শাখা বন্ধ করে রাখেন শুধু ট্রাক ও রয়্যাল এনফিল্ড। এই পদক্ষেপকে ব্যবসায়িক নয়া জন্ম বলা যেতে পারে। তিনি সরাসরি রাইডার ও গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান বের করেন।
প্রযুক্তি ও গ্রাহক অভিজ্ঞতার পরিবর্তন
সিদ্ধার্থ লাল কাস্ট আয়রনের ইঞ্জিনকে অ্যালুমিনিয়ামের ইঞ্জিনে পরিবর্তন করেন। সার্ভিস সেন্টার ও শোরুমের মানোন্নয়নের নির্দেশ দেন। গ্রাহক প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী প্রতিটি ছোটখাটো সমস্যা সমাধান করা হয়। এই নীতি সংস্থার ব্র্যান্ড ইমেজ ও বিক্রি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
অলৌকিক পুনর্জীবন ও সাফল্য
২০০০ সালে ২৪ হাজার ইউনিট বিক্রি করত সংস্থা। ২০২৪ সালে বিক্রি পৌঁছেছে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৭৮ ইউনিটে। শুধুমাত্র একটি মোটরবাইক কোম্পানি নয়, রয়্যাল এনফিল্ড এখন অ্যাডভেঞ্চার ও লাইফস্টাইলের প্রতীক। আইখার মোটরসের লভ্যাংশের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে রয়্যাল এনফিল্ড থেকে।
২০০০ সালে বন্ধের ধাক্কা খেয়েছিল রয়্যাল এনফিল্ড। বিক্রি তলানিতে, প্রযুক্তি পুরনো ও অভিযোগের সঙ্গে জর্জরিত ছিল সংস্থা। তবে সিদ্ধার্থ লালের সাহসী ও ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফলে সংস্থাটি পুনরুজ্জীবিত হয়ে ২৪ হাজার ইউনিট বিক্রি থেকে ২০২৪ সালে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ইউনিটে পৌঁছায়। এখন এটি মোটরবাইক নয়, একটি লাইফস্টাইল ও অ্যাডভেঞ্চার ব্র্যান্ড।