আরপিএসসি-র কঠোর পদক্ষেপ: জালিয়াতির অভিযোগে ৫২৪ জন প্রার্থী বরখাস্ত

আরপিএসসি-র কঠোর পদক্ষেপ: জালিয়াতির অভিযোগে ৫২৪ জন প্রার্থী বরখাস্ত

আরপিএসসি ৫২৪ জন প্রার্থীকে বরখাস্ত করেছে। ৪১৫ জনকে আজীবন, ১০৯ জনকে ১-৫ বছরের জন্য। জাল নথি, অবৈধ উপায়, ডামি প্রার্থী এবং অন্যান্য অনিয়মের কারণে এই পদক্ষেপ। জালোরে সর্বাধিক ১২৮ জন প্রার্থীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আরপিএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি: রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশন (আরপিএসসি) বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগে ৪১৫ জন প্রার্থীকে আজীবন এবং ১০৯ জন প্রার্থীকে ১ থেকে ৫ বছরের জন্য বরখাস্ত করেছে। এই ঘটনায় রাজস্থানের বাইরের অন্যান্য রাজ্যের ১০ জন প্রার্থীও জড়িত। কমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে জাল নথি, অবৈধ উপায়, ডামি প্রার্থী এবং অন্যান্য অনিয়মের কারণে।

জেলা-ভিত্তিক বরখাস্তের তালিকা

জালোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ১২৮ জন প্রার্থীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর বাঁশওয়াড়ার ৮১ জন এবং ডুঙ্গারপুরের ৪০ জন প্রার্থীকে বরখাস্তের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও বিভিন্ন কারণে অনেক প্রার্থীকে কমিশন বরখাস্ত করেছে।

বরখাস্ত করার প্রধান কারণ

আরপিএসসি বরখাস্ত করার প্রধান কারণগুলো জানিয়েছে:

  • জাল ডিগ্রি ও নথি: মোট ১৫৭টি মামলা, যার মধ্যে ১২৬টি জাল বিএড ডিগ্রির।
  • পরীক্ষায় অবৈধ উপায়ের ব্যবহার: ১৪৮টি মামলা, যেখানে পরীক্ষায় অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রযুক্তিগত উপায় ব্যবহার করা হয়েছে।
  • ডামি প্রার্থী (প্রতারণা): ৬৮টি মামলা, যেখানে অন্য কোনো ব্যক্তিকে নিজের স্থানে বসানো হয়েছে।

  • ব্লুটুথ, মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে নকল করার চেষ্টা: ৩৮টি মামলা।
  • প্রশ্নপত্র বা ওএমআর শিটের অপব্যবহার: ৬২টি মামলা, যেখানে শিট কেন্দ্র থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া বা তাতে কারচুপি করা হয়েছে।
  • অন্যান্য কারণ: পরীক্ষা আয়োজনে বাধা, ভুল তথ্য বা অন্যান্য অসঙ্গতি ৫১টি মামলায় পাওয়া গেছে।

অন্যান্য রাজ্যের প্রার্থীরাও বরখাস্ত

মোট ৫২৪ জন বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীর মধ্যে ৫১৪ জন রাজস্থানের বিভিন্ন জেলার। বাকি ১০ জন প্রার্থী উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, দিল্লি ও মধ্য প্রদেশের মতো অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা।

মাল্টিপল এসএসও আইডি ও ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া

কমিশন একাধিক এসএসও আইডি থেকে আবেদন করা প্রার্থীদের উপরও নজর রেখেছে। যে প্রার্থীরা একই পরীক্ষার বিভিন্ন সেশনে বসার জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করেছে, তাদেরকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।

৭ জুলাই, ২০২৫ থেকে আরপিএসসি কেওয়াইসি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের তাদের আধার বা জন আধারের মাধ্যমে ওয়ান-টাইম রেজিস্ট্রেশন (ওটিআর) যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ই-কেওয়াইসি ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা সম্ভব হবে না।

বর্তমানে ওটিআর-এ মোট ৬৯,৭২,৬১৮ জন প্রার্থী নিবন্ধিত আছেন। এদের মধ্যে ৩৭,৫৩,৩০৭ জন আধার এবং ২১,৭০,২৫৩ জন জন আধার দিয়ে যাচাইকৃত। বাকি ১০,৩৩,১৩৬ জন প্রার্থী শুধুমাত্র এসএসও আইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, যাদের মধ্যে ৪৮,৬৬৭ জন ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছেন।

তালাকপ্রাপ্ত কোটার তদন্ত

আরপিএসসি সচিব রামनिवास মেহতা জানিয়েছেন যে, কমিশন সরকারি চাকরিতে তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কোটার উপর নজর রাখছে। কিছু প্রার্থী ভুয়া তালাকের প্রমাণপত্র বানিয়ে এই সংরক্ষিত কোটায় আবেদন করেছেন। এই ধরনের মামলাগুলির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি করবে।

Leave a comment