২০১১ সালে মুক্তি পায় বিদ্যা বালান অভিনীত বহুচর্চিত ছবি দ্য ডার্টি পিকচার। সিল্ক স্মিথার বায়োপিক ঘিরে তুমুল আলোচনা ও প্রশংসা হলেও বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান নাকি ছবিটি কখনও দেখেননি। তাঁর স্ত্রী করিনা কাপুর একাধিকবার ছবিটি দেখতে বললেও তিনি তা এড়িয়ে যান। করিনার মতে, সইফের ভয় ছিল—তিনি নিজেও হয়তো এমন সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।

বিদ্যা বালানের সাহসী ভূমিকায় ঝড় তুলেছিল ‘দ্য ডার্টি পিকচার’
২০১১ সালে বিদ্যা বালানের কেরিয়ারে নতুন অধ্যায় লিখেছিল এই ছবি। দক্ষিণী অভিনেত্রী সিল্ক স্মিথার জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই বায়োপিক বক্স অফিসে রেকর্ড গড়েছিল। বিদ্যার অনবদ্য অভিনয় ও সাহসী চরিত্রচিত্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
সইফের ‘না’—স্ত্রীর অনুরোধও ফেলেননি সইফ আলি খান
করিনা কাপুর বারবার অনুরোধ করলেও সইফ ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ দেখতে রাজি হননি। এমনকি, ছবির প্রসঙ্গ উঠলেই বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন তিনি। প্রতিবেদনে জানা যায়, সইফ এই ছবিটি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্যও করতে চাননি।
করিনার ব্যাখ্যা—ভয় পেয়েছিলেন সইফ!
করিনা কাপুর এক সাক্ষাৎকারে জানান, সইফের ভয় ছিল তিনি নিজেও হয়তো এমন সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে চাইবেন। সেই ভাবনাতেই তিনি ছবিটি দেখতে চাননি। করিনার মতে, “সইফের ভয়টা একেবারে অকারণ নয়, কারণ আমি বরাবরই ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করতে ভালোবাসি।

ছকভাঙা চরিত্রে করিনার ঝোঁক, সইফের আপত্তি স্পষ্ট
করিনাকে একাধিক সাহসী ভূমিকায় দেখা গেছে—‘হিরোইন’, ‘কামিনে’, ‘এজেন্ট ভিনোদ’-এর মতো ছবিতে তাঁর চরিত্রগুলো ছকভাঙা। বিশেষ করে ‘এজেন্ট ভিনোদ’-এ সইফের সঙ্গেই অন্তরঙ্গ দৃশ্যে ছিলেন করিনা। তবুও, বলিউডে কানাঘুষো—সইফ এসব বিষয়ে কিছুটা আপত্তি প্রকাশ করেছেন বলেই মনে করেন অনেকে।
বিদ্যা-করিনা—দু’জনেই সাহসী নারীর প্রতীক
‘দ্য ডার্টি পিকচার’-এর বিদ্যা যেমন সমাজের ধ্যানধারণা ভেঙেছিলেন, করিনা কাপুরও তেমনি নিজস্ব অভিনয়বোধে নিয়ম ভেঙেছেন বহুবার। দু’জনেই প্রমাণ করেছেন—নারীর চরিত্র মানেই শুধুমাত্র সংযত রূপ নয়, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীন মনোভাবের প্রকাশও হতে পারে পর্দায়।

বিদ্যা বালান অভিনীত ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ দেখেননি সইফ আলি খান। কারণ, করিনা কাপুর সেই ছবিটি দেখার প্রস্তাব দিলেও সইফ তা এড়িয়ে যান। করিনার মতে, সইফের ভয় ছিল—এই সাহসী ছবিটি দেখে তিনিও হয়তো এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাইবেন!













