পরিচিতি ও কেরিয়ার:
টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির এক পরিচিত ও জনপ্রিয় নাম সৈরিতী বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোটপর্দার একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তার অভিনয়শৈলীর বৈচিত্র্য ও চরিত্রে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। শুধু সিরিয়াল নয়, ওয়েব সিরিজের পর্দাতেও তিনি নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় উপস্থিতি তাঁকে আরও কাছের মানুষ করে তুলেছে ভক্তদের কাছে। প্রতিদিন নতুন লুক বা স্টাইলিশ ছবি পোস্ট করে অনুরাগীদের সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখেন অভিনেত্রী।সৈরিতীর বহুমুখী প্রতিভা, জনপ্রিয়তা এবং দর্শকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব:
সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখলেই দেখা যায় সৈরিতীর সাহসী ও স্টাইলিশ রূপ। কখনও ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও ব্যাকলেস ব্লাউজে মারকাটারি উপস্থিতি, আবার কখনও ওয়েস্টার্ন পোশাকে গ্ল্যামারাস লুক—প্রতিটি ছবিই ভক্তদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। শরীরচর্চা ও ফিটনেস নিয়ে তিনি বেশ যত্নশীল। নিজের ফিগারকে তুলে ধরতে কোনোদিনও দ্বিধা করেননি, বরং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ফলে, তার ফ্যাশন সেন্স থেকে অনুপ্রাণিত হন বহু তরুণী।সৈরিতীর সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি ও সাহসী স্টাইলের প্রভাবকে আরও বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবন:
ব্যক্তিগত জীবনেও সমান পরিপূর্ণ সৈরিতী। বর্তমানে ৩৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০২০ সালে মেয়ের জন্ম দেন তিনি। মাতৃত্বের পরেও নিজের ফিগার বজায় রাখা এবং আগের মতোই গ্ল্যামারাস থাকা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কাজের ব্যস্ততা, শ্যুটিং ও মা হিসেবে দায়িত্ব—সবকিছুর মধ্যে দারুণ ভারসাম্য বজায় রাখছেন তিনি। আজকের দিনে অনেকেই তাঁকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরেন, কারণ মা হওয়ার পরেও কেরিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনকে সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন।মাতৃত্ব, দায়িত্ব ও সৌন্দর্য একসঙ্গে সামলানোর দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।
কেরিয়ার শুরু ও উল্লেখযোগ্য কাজ:
মডেলিং দিয়েই কেরিয়ারের যাত্রা শুরু করেন সৈরিতী। পরে ছোটপর্দায় তিনি নিজের জায়গা শক্ত করেন। ধারাবাহিক ‘নাগলীলা’, ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’, ‘বাক্সবদল’-এ তাঁর অসাধারণ অভিনয় দর্শকদের কাছে তাঁকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। বিশেষ করে ‘ঠিক যেন লাভ স্টোরি’ ধারাবাহিকে নীল ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি দর্শকদের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। প্রতিটি চরিত্রে অভিনয় করার সময় নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন তিনি।মডেলিং থেকে ধারাবাহিক পর্যন্ত তাঁর সাফল্যের যাত্রা বিস্তৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বিবাহ ও কেরিয়ার বিরতি:
অভিনয় জীবনের মধ্যেই সৈরিতী বিবাহিত জীবনে পা রাখেন। স্বামী রোহিত-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। বিয়ের পর কিছুদিন অভিনয়জীবনে বিরতি নিলেও আবারও ফিরে আসেন ছোটপর্দায়। শুধু ইতিবাচক চরিত্রেই নয়, নেতিবাচক চরিত্রেও তিনি নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। ‘টুম্পা অটোওয়ালি’ ধারাবাহিকে তাঁর নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় দর্শকদের চমকে দিয়েছিল। কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা ও বহুমুখী চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষমতাই প্রমাণ করে যে তিনি নিছক একঘেয়ে নন, বরং বহুমাত্রিক একজন অভিনেত্রী।ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের ওঠাপড়া এবং চরিত্রের বৈচিত্র্যকে স্পষ্ট করা হয়েছে।