বাগেস্বর ধাম প্রধান পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী যুবকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে হিন্দুধর্মে সকল দেবতাই একই পরমাত্মার রূপ। তিনি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলেন, যেমন সোনা যে কোনও রূপে নিজের পরিচয় বজায় রাখে, তেমনই ভগবান রাম, কৃষ্ণ, শিব বা হনুমান সকলেই একই শক্তির প্রতীক।
বাগেস্বর বাবা: একটি অনুষ্ঠানে বাগেস্বর ধাম প্রধান পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী যুবকদের কৌতূহলের সমাধান করেন। যখন দর্শকরা জিজ্ঞাসা করেন যে অসংখ্য দেব-দেবীর পূজার মধ্যে সবচেয়ে বড় ভগবান কে, তখন বাবা বলেন যে ঈশ্বর একই, কেবল তাঁর রূপ ভিন্ন ভিন্ন। তিনি স্পষ্ট করেন যে সকল দেবতাই পরমাত্মার কাছে পৌঁছানোর পথ এবং কাউকে ছোট-বড় মনে করা ভুল।
সব দেবতা এক সমান
অনুষ্ঠানে যখন এক মহিলা দর্শক প্রশ্ন করেন যে অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা হয়, কিন্তু যুবকদের মনে এই দ্বিধা থাকে যে আসলে সবচেয়ে বড় ভগবান কে, তখন বাগেস্বর বাবা স্পষ্ট জবাব দেন। তিনি বলেন যে ভগবান একই, তাঁর রূপ আলাদা আলাদা এবং কাউকে ছোট-বড় মনে করা ভুল।
তিনি উদাহরণ দেন যে, যেমন সোনা যে কোনও রূপে হোক— তা সে আংটি হোক, ব্রেসলেট হোক বা মঙ্গলসূত্র— সেটি সোনাই থাকে। তেমনই মাটি দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র যেমন - ভাঁড়, থালা বা মটকা যাই হোক না কেন, মাটির পরিচয় বদলায় না। ঠিক তেমনই ভগবান রাম, কৃষ্ণ, শিব বা হনুমান—সকলেই পরমাত্মার কাছে পৌঁছানোর পথ।
বাগেস্বর বাবার দৃষ্টান্ত
বাবা তাঁর জবাব আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, যেমন বট গাছের যে কোনও ডাল থেকে উপরে ওঠা শুরু করলে শেষ পর্যন্ত মূলে পৌঁছানো যায়। একইভাবে কোনও ভক্ত যদি কোনও দেব-দেবীর পূজা করে, তবে তার পথ শেষ পর্যন্ত পরমাত্মার কাছেই যায়।
তিনি আরও বলেন, হিন্দুধর্মের এটাই বিশেষত্ব যে এখানে ঈশ্বরকে অনেক রূপে পূজা করা হয়, কিন্তু সকল রূপই একই শক্তির প্রতীক। এই কারণেই ভক্তির যে কোনও পথ বেছে নিন না কেন, শেষে গন্তব্য সেই একই পরমাত্মা হয়।
যুবকদের দ্বিধা দূর করার চেষ্টা
বাবা স্বীকার করেন যে আজকের যুবকেরা প্রায়শই এই প্রশ্নে দ্বিধায় ভোগে যে আসলে সবচেয়ে বড় ভগবান কে। তিনি বলেন যে এই ধারণা পরিবর্তনের প্রয়োজন, কারণ ঈশ্বরের শক্তি একই, কেবল ভক্তদের জন্য আলাদা আলাদা রূপে প্রকাশিত হয়।
বাবার এই বক্তব্য যুবকদের এবং সাধারণ ভক্তদের জন্য একটি পথনির্দেশক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন যে শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় উপায়, তা যে কোনও দেবতার প্রতিই হোক না কেন।