Sand Smuggling West Bengal: ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে সুবর্ণরেখা নদীর ধারে অবস্থিত শেখ জহিরুল আলির প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে সোমবার সকালে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করল ইডি। জানা গিয়েছে, একসময় সাইকেল মিস্ত্রি ও পরে ভিলেজ পুলিশ হিসেবে কাজ করতেন জহিরুল। এরপর হঠাৎ করেই বালি ব্যবসায় নামেন এবং কয়েক বছরের মধ্যেই বিপুল সম্পত্তির মালিক বনে যান। ইডি-র দাবি, বৈধ খাদান থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে চড়া দামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব লুঠ হয়েছে।
২২ জায়গায় একযোগে অভিযান
সোমবার ভোর থেকে ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, খেজুরি, নদিয়ার কল্যাণী-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ২২ জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। বেহালায় GD মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস, কসবায় সৌরভ রায়ের বাড়ি, সল্টলেকে সংস্থার সদর দফতর, এমনকি বিমা এজেন্টদের বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রশ্ন উঠছে, কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হচ্ছিল?
আলোচনায় শেখ জহিরুল আলি
অভিযানের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন শেখ জহিরুল আলি। এলাকাবাসীর দাবি, একসময় সাইকেল মেরামতি করে সংসার চালাতেন। পরে ভিলেজ পুলিশ হিসাবে কাজ করলেও, হঠাৎ বালি ব্যবসায় নামতেই তাঁর জীবনে আসে নাটকীয় পরিবর্তন। গোপীবল্লভপুরের সাধারণ গ্রাম্য পরিবেশে তাঁর বিশাল তিনতলা বাড়ি ইতিমধ্যেই কৌতূহল বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের।
বেআইনি বালি পাচারের ছক
ইডি সূত্রে খবর, বালি খাদানের লিজ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বহু বেশি বালি তোলা হত। সেই বালি পরে চড়া দামে বিক্রি করা হতো। ভুয়ো চালান ও নথি বানিয়ে পাচারকেই বৈধ রূপ দেওয়া হত। এভাবে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বিরোধীদের তোপ
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, এই বিপুল অর্থ সরাসরি ভাইপোর হাতেই পৌঁছচ্ছে। বালি ব্যবসা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন SP এবং IC-রা। প্রশাসন ও পুলিশের মদত ছাড়া এমন দুর্নীতি চলাই সম্ভব নয়। তাঁর এই বিস্ফোরক অভিযোগকে ঘিরেই ফের রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
ঝাড়গ্রামে বালি পাচার মামলায় বড়সড় অভিযান চালাল ইডি। গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল আলির প্রাসাদোপম বাড়ি থেকে উদ্ধার হল লক্ষ লক্ষ টাকা। একসময় সাইকেল মিস্ত্রি থেকে রাতারাতি বালি ব্যবসায়ীর উত্থান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মোট ২২ জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।