সর্বপিতৃ অমাবস্যা ২০২৫ এই বছর ২১শে সেপ্টেম্বর, রবিবার পালিত হবে। এই দিনে পিতৃপক্ষের সমাপ্তি হয় এবং পিতৃপুরুষের কৃপা লাভের জন্য তর্পণ, পিণ্ডদান, দান এবং পিপল পূজা করার গুরুত্ব আছে। পবিত্র নদীতে স্নান বা বাড়িতে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করাও শুভ বলে মনে করা হয়।
নয়া দিল্লি: সর্বপিতৃ অমাবস্যা ২০২৫ এই বার ২১শে সেপ্টেম্বর, রবিবার। ভাদ্রপদ পূর্ণিমা থেকে শুরু হওয়া পিতৃপক্ষের এই শেষ দিন পিতৃপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনে সকালে পবিত্র নদীতে স্নান করা, তর্পণ ও পিণ্ডদান করা, ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো এবং দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এর সাথে পিপল গাছের পূজা ও সাতটি পরিক্রমা করে তেল ও কালো তিল দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো পিতৃপুরুষের কৃপা লাভে সহায়ক বলে মনে করা হয়।
সর্বপিতৃ অমাবস্যা ২০২৫: পিতৃপক্ষের শেষ দিন
পঞ্জিকা অনুসারে পিতৃপক্ষ শুরু হয় ভাদ্রপদ পূর্ণিমা থেকে এবং এটি ১৫ দিন ধরে চলে। এই সময় পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। পিতৃপক্ষের শেষ দিনটি আশ্বিন মাসের অমাবস্যায় পালিত হয়, যাকে সর্বপিতৃ অমাবস্যা বলা হয়। এই দিনে বিশেষ পূজা, তর্পণ ও পিণ্ডদান করে পিতৃপুরুষের কৃপা পাওয়ার বিশ্বাস প্রচলিত আছে।
সর্বপিতৃ অমাবস্যার সময় ও শুভ মুহূর্ত
সর্বপিতৃ অমাবস্যা ২১শে সেপ্টেম্বর রাত ১২টা বেজে ১৬ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ২২শে সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা বেজে ২৩ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই দিনে অনেক শুভ মুহূর্ত নির্ধারিত আছে, যেগুলিতে পূজা ও তর্পণ করা বিশেষভাবে ফলদায়ক বলে মনে করা হয়।
শুভ মুহূর্তগুলি হল:
- কুতুপ মুহূর্ত: সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা বেজে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত
- রৌহিণ মুহূর্ত: দুপুর ১২টা বেজে ৩৮ মিনিট থেকে ১টা বেজে ২৭ মিনিট পর্যন্ত
- অপরাহ্ন কাল: দুপুর ১টা বেজে ২৭ মিনিট থেকে দুপুর ৩টা বেজে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত
শুভ মুহূর্তে করা তর্পণ ও পিণ্ডদান থেকে পিতৃপুরুষের কৃপা পাওয়ার বিশ্বাস রয়েছে।
সর্বপিতৃ অমাবস্যার সময় কি করা উচিত
সর্বপিতৃ অমাবস্যার দিনে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে পবিত্র নদীতে স্নান করার পরম্পরা আছে। যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে বাড়িতেই গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করা যেতে পারে। এরপর পিতৃপুরুষের জন্য তর্পণ ও পিণ্ডদান করা উচিত।
এই দিনে গরু, কুকুর, কাক, দেব এবং পিঁপড়েকে খাবার দেওয়াও শুভ বলে মনে করা হয়। এর সাথে ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো এবং নিজের সাধ্য অনুসারে দান করাও পিতৃপুরুষের কৃপা পাওয়ার জন্য লাভজনক বলে মনে করা হয়।
পিপল গাছের গুরুত্ব
সর্বপিতৃ অমাবস্যার দিনে পিপল গাছের পূজা করারও পরম্পরা আছে। মনে করা হয় যে পিপল গাছে পিতৃপুরুষের বাস থাকে। এই দিনে গাছের চারদিকে সাতটি পরিক্রমা করা উচিত এবং গাছের নীচে সরষের তেলের প্রদীপে কালো তিল দিয়ে জ্বালানো উচিত।
যদি সম্ভব হয় তাহলে কোনো মন্দিরের আশেপাশেও পিপল গাছ লাগানো যেতে পারে। এতে শুভ ফল পাওয়ার বিশ্বাস আছে এবং পিতৃপক্ষের শেষ দিনে পিতৃপুরুষের শান্তি ও আশীর্বাদ লাভ হয়।