পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা-র ছবি 'অ্যানিম্যাল', যা ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল, তার হিংসাত্মক দৃশ্যগুলির জন্য খুব আলোচিত হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অদিতি গোভিত্রিকর সিনেমায় দেখানো হিংসার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সেই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিনোদন: সিনেমার জগতে হিংসা-ভিত্তিক গল্প এবং অ্যাকশন দৃশ্য প্রায়শই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, কিন্তু এগুলোর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিনেত্রী এবং মনোবিজ্ঞানী অদিতি গোভিত্রিকর সম্প্রতি 'অ্যানিম্যাল' এবং 'কবীর সিং'-এর মতো সিনেমার হিংসাত্মক বিষয়বস্তু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি মনে করেন যে এই ধরনের সিনেমা দর্শকদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তাদের আচরণ ও চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
'অ্যানিম্যাল' এবং 'কবীর সিং' নিয়ে মন্তব্য
অদিতি গোভিত্রিকর 'বলিউড বাবল'-এর সঙ্গে কথোপকথনে বলেন যে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা-র সিনেমা 'অ্যানিম্যাল' (২০২৩) এবং শাহিদ কাপুর-কিয়ারা আদভানি অভিনীত 'কবীর সিং'-এর মতো সিনেমাগুলোতে যে হিংসা দেখানো হয়, তার প্রভাব শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি দর্শকদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও পড়ে।
তিনি বলেন, হিংসাত্মক সিনেমা একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের উপর গভীর প্রভাব ফেলে এবং অনেক সময় তাদের ভুল সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহিত করতে পারে। অদিতি এই বিষয়ে জোর দেন যে মানুষের মন এবং চিন্তা তার দৈনন্দিন জীবনে আসা প্রতিটি জিনিস দ্বারা প্রভাবিত হয় — তা খাবার হোক বা সেই বিষয়বস্তু যা সে দেখে ও শোনে। তিনি বলেন,
'এটা জরুরি যে আমরা মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে নিজেদেরকে কী 'ফিড' করছি, সেদিকে ध्यान দিই, কারণ এটি আমাদের চিন্তা ও আচরণকে সরাসরি প্রভাবিত করে।'
নিয়মিত হিংসাত্মক কনটেন্ট দেখার কুফল
অদিতির মতে, যখন কোনো ব্যক্তি लगातार হিংসাত্মক সিনেমা বা সিরিজ দেখে, তখন এর সরাসরি প্রভাব তার অবচেতন মনের উপর পড়ে। এর ফলে ব্যক্তির হিংসাত্মক স্বপ্ন দেখা, ঘুমের মধ্যে ক্রোধ বা আগ্রাসী भावना महसूस হওয়া এবং বিরক্তি বোধের মতো সমস্যা হতে পারে। তিনি জানান যে এই ধরনের কনটেন্টের সঙ্গে लगातार যোগাযোগ থাকার কারণে শুধু ব্যক্তির সুখ প্রভাবিত হয় তাই নয়, বরং তার आसपास के लोगों के साथ संबंधों में भी तनाव आ सकता है। দীর্ঘ সময়ে এটি মানসিক স্বাস্থ্যকে দুর্বল করতে পারে।
যদিও অদিতি বিশেষভাবে 'কবীর সিং'-এর উল্লেখ করেছেন, তবে তিনি এও বলেন যে ভারতীয় সিনেমায় অনেক সিনেমা अत्यधिक हिंसा के कारण चर्चा में रहती हैं। এর মধ্যে 'অ্যানিম্যাল' এবং 'केजीএফ'-এর মতো হিট সিনেমাও রয়েছে। তাঁর বিশ্বাস, সিনেমায় দেখানো চরিত্র এবং তাদের আচরণ প্রায়শই দর্শকদের অবচেতনে গভীর ছাপ ফেলে। যদি কনটেন্ট लगातार হিংসাত্মক বা আগ্রাসী হয়, তবে এটি ধীরে ধীরে দর্শকদের আচরণ এবং চিন্তা করার ধরনেও পরিবর্তন আনতে পারে।
অদিতি গোভিত্রিকর, যিনি পেশায় মনোবিজ্ঞানীও, তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে বিনোদনের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করা উচিত নয়। তাঁর পরামর্শ, দর্শকদের নিজেদের দেখার অভ্যাসের প্রতি সতর্ক হওয়া উচিত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পজিটিভ ও ইন্সপিরেশনাল কনটেন্টকে प्राथमिकता দেওয়া উচিত।