শশী থারুরের কড়া বার্তা: পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করলে ভারত সম্পর্ক improvement-এর জন্য আর উদ্যোগ নেবে না

শশী থারুরের কড়া বার্তা: পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ বন্ধ না করলে ভারত সম্পর্ক improvement-এর জন্য আর উদ্যোগ নেবে না

ভারত এখন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগী হওয়ার মেজাজে নেই। ক্রমাগত প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার পর ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের वरिष्ठ নেতা এবং তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর।

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের वरिष्ठ নেতা এবং তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, ভারত আর সম্পর্ক improvement-এর জন্য প্রথম পদক্ষেপ নেবে না। বারবার বিশ্বাসঘাতকতা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জেরে ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। থারুর স্পষ্ট করে বলেন, এখন পাকিস্তানের দায়িত্ব নিজেদের ভূমি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করে তাদের সদিচ্ছা প্রমাণ করা।

থারুর প্রাক্তন কূটনীতিক সুরেন্দ্র কুমারের লেখা বই "Whither India-Pakistan Relations Today?"-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। এই সময় তিনি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অকপট মতামত পেশ করেন।

'এখন পাকিস্তানের পালা' – থারুর

থারুর বলেন, “ভারত সবসময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রতিবার পাকিস্তান বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এখন সময় এসেছে পাকিস্তান তাদের ভূমিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি কাঠামোকে ধ্বংস করুক। যতক্ষণ না এটা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্পর্ক improvement-এর initiative আমাদের তরফ থেকে নেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান যেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে ধুলো দেওয়া বন্ধ করে। 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কমিটির কাছে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত ৫২ জন ব্যক্তি ও সংগঠনের তালিকা আছে। পাকিস্তান এদের সবার সম্পর্কে জানে, কিন্তু তারপরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। প্রশ্ন হল, কেন পাকিস্তান এই জঙ্গি ঘাঁটিগুলি বন্ধ করতে আগ্রহী নয়?

ইতিহাসের উদাহরণ: ভারতের প্রচেষ্টা এবং পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

শশী থারুর তাঁর ভাষণে ভারতের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার উল্লেখ করেছেন, যেখানে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানোর ইচ্ছা স্পষ্ট।

  • ১৯৫০: পন্ডিত জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের মধ্যে চুক্তি।
  • ১৯৯৯: প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর লাহোর বাস যাত্রা।
  • ২০১৫: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আকস্মিক লাহোর সফর।

থারুর বলেন, প্রতিবার ভারত সম্পর্কের উন্নতির উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান তার জবাব দিয়েছে সন্ত্রাস ও শত্রুতা দিয়ে। থারুর ২৬/১১ মুম্বাই হামলার উল্লেখ করে বলেন, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে "অকাট্য প্রমাণ" পেশ করেছিল, যার মধ্যে লাইভ ইন্টারসেপ্ট ও ডসিয়ার ছিল। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে একজনও মাস্টারমাইন্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ভারত ২০০৮ সালের হামলার পর অসাধারণ সংযম দেখিয়েছিল। কিন্তু বারবার উস্কানির কারণে ভারতকে ২০১৬ সালে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের মতো পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল। আমি আমার বই ‘প্যাক্স ইন্ডিকা’ (২০১২)-তে সতর্ক করেছিলাম যে যদি মুম্বাইয়ের মতো হামলা আবারও হয়, তবে ভারতের সংযম ভেঙে যাবে, এবং সেটাই হয়েছিল।

Leave a comment