পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের ওপর, অধিকারী বিদেশী অনুপ্রবেশকারী ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন, পাল্টা জবাব তৃণমূলের
মুখ্য বিষয়
• কোচবিহারে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে कथित হামলা
• অধিকারীর বক্তব্য, বুলেটপ্রুফ গাড়ি বাঁচিয়েছে, হামলায় বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাত রয়েছে
• তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলেছে
কনভয়ে কথিত হামলা
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) वरिष्ठ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে মঙ্গলবার কোচবিহার জেলার খাগড়াবাড়ি এলাকায় कथितভাবে হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় কনভয়ের বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। শুভেন্দু অধিকারী এই হামলাকে সম্পূর্ণরূপে সুপরিকল্পিত আখ্যা দিয়ে দাবি করেছেন যে তিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে হামলাকারীরা বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ ভাঙারও চেষ্টা করেছিল এবং এই হামলা শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার উপর নয়, গণতন্ত্রের উপর হামলা। তিনি এটিকে রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন এবং সকল দেশপ্রেমিককে এই ধরনের শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বিদেশী অনুপ্রবেশকারী ও টিএমসির উপর গুরুতর অভিযোগ
শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার পেছনে কথিতভাবে বিদেশী অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে হামলাকারীরা বাংলাদেশী মুসলমান ছিল, যাদের তৃণমূল কংগ্রেস জুটিয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন যে টিএমসির দ্বারা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের এলাকায় উস্কে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছে।
বিজেপি নেতা জানিয়েছেন যে হামলাকারীরা লাঠি ও পাথর দিয়ে হামলা করেছে, যার ফলে কনভয়ের বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এটিকে একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে পুলিশের কাছে নিরপেক্ষ ও ব্যাপক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
স্লোগান ও ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, যখন শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা কালো পতাকা দেখিয়ে এবং 'চোর চোর' স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এরপর, অভিযোগ করা হয় যে, ভিড় কনভয়ের গাড়িগুলোকে লক্ষ্য করে লাঠি দিয়ে হামলা চালায় এবং রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করে।
ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল, তবে অভিযোগ উঠেছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতেই এই হাঙ্গামা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুভেন্দু অধিকারী সেই সময় কোচবিহার এসপি অফিসের বাইরে বিজেপির পক্ষ থেকে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং তিনি পুলিশ সুপারকে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা জবাব
বিজেপির অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং এই হামলাকে সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক নাটক বলে অভিহিত করেছে। টিএমসির দাবি, এই ঘটনায় দলের কোনো কর্মী জড়িত ছিল না এবং এটি বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল।
দলের নেতারা বলেছেন যে, "বিরোধী দল এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক লাভের জন্য বাড়িয়ে দেখাচ্ছে এবং বাস্তবতা লুকানোর চেষ্টা করছে।" টিএমসি দাবি করেছে যে, "মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক এবং যা সত্যি, তা সামনে আনা হোক।" বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।