Snake Prevention Tips: সাপ তাড়াতে ধন্বন্তরি! হেঁশেলের এই মশলা পোড়ালেই পালাবে বিষধর সাপ

Snake Prevention Tips: সাপ তাড়াতে ধন্বন্তরি! হেঁশেলের এই মশলা পোড়ালেই পালাবে বিষধর সাপ

গ্রামীণ এলাকায় বর্ষাকালে বাড়ির আশেপাশে সাপের সংখ্যা বেড়ে যায়। আর্দ্রতা এবং ঘাসের ঘনত্ব বাড়ার কারণে সাপ ঘরে প্রবেশ করতে পারে। উত্তরাখণ্ডের গ্রামীণ অঞ্চলে শতাব্দী ধরে কালো তিল পোড়ানোর প্রথা ব্যবহার করা হয়, যা নিরাপদ ও কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সাপ তাড়ানোর উপায়

ধোঁয়ার জাদু :বাগেশ্বরের স্থানীয় বিশেষজ্ঞ, মহিলা সন্তোষী দেবী জানিয়েছেন যে, কালো তিল পুড়িয়ে একটি ছোট পাত্রে রাখলে প্রধান দরজা, জানালা এবং বাড়ির চারপাশে তীব্র ধোঁয়া তৈরি হয়। এই ধোঁয়া সাপের সংবেদনশীল নাককে প্রভাবিত করে এবং ঘরের কাছাকাছি আসতে বাধা দেয়।

নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব

এই পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার হয় না। ফলে এটি কেবল সাপের হাত থেকে সুরক্ষা দেয় না, বরং পরিবেশের জন্যও নিরাপদ।

পরিচ্ছন্নতা ও নিয়মিত তদারকি

জেলা প্রশাসন এবং কৃষি বিশেষজ্ঞরা গ্রামবাসীদের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। ঘাস, আগাছা এবং ড্রেন পরিষ্কার রাখা জরুরি। কালো তিল পোড়িয়ে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা তৈরি করা যায়।

সচেতনতা বৃদ্ধি

গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রচারণা চালানো হয়েছে। বয়স্করা বলছেন, তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সাপের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে মিলিয়ে এই পদ্ধতি পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক।

প্রশাসনিক উদ্যোগ

গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকর্তা জানান, প্রশাসন সময়ে সময়ে সেমিনার ও কর্মসূচি আয়োজন করছে, যাতে গ্রামবাসীরা রাসায়নিকের উপর নির্ভর না করে প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে।

যখনই অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় বা মাঠে ঘাস জন্মে, তখন কালো তিল পোড়ানোর মাধ্যমে বাড়ি ও আশেপাশের এলাকা সাপমুক্ত রাখা সম্ভব। এটি সাপের হাত থেকে সুরক্ষা দেয়, ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান সংরক্ষণ করে এবং গ্রামীণ জীবনকে নিরাপদ করে তোলে।

Leave a comment